Advertisement
Advertisement

Breaking News

নয়া সুন্দরবন জেলার সদর হচ্ছে ক্যানিং

শুধু সুন্দরবন জেলা নয় ভোটের আগের ঘোষণামতো খুব শীঘ্রই শুরু হবে বসিরহাট, আসানসোল-সহ রাজ্যের আরও পাঁচটি জেলার কাজ, এমনই দাবি প্রশাসনের৷

Mamata Banerjee's cabinet cleared the deck for setting up new district Sunderbans
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 2, 2016 12:19 pm
  • Updated:June 2, 2016 12:19 pm

দেবব্রত মণ্ডল: নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে বসিরহাটের জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন সুন্দরবন নামে তৈরি হবে আলাদা জেলা৷ আর সেই জেলার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি ব্লক অন্তর্ভুক্ত করা হবে৷ কিন্তু জেলা সদর কোথায় হবে তা নিয়ে টালবাহানা থাকলেও প্রশাসনের তরফে ক্যানিংকেই জেলা সদর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ আর তাতেই আপাতত সিলমোহর পড়তে চলেছে৷

ভারতীয় সুন্দরবনের মোট আয়তন ৯৬৩০ বর্গ কিলোমিটার৷ যার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বনাঞ্চলের আয়তন প্রায় ৪২৬০ বর্গকিমি৷ বর্তমান সুন্দরবনের ১০৮টি দ্বীপের মধ্যে ৫০টি দ্বীপে প্রায় ৪০ লক্ষ লোকের বসবাস৷ এই দ্বীপগুলির মোট মৌজা সংখ্যা হল ১০৯৩৷ সমগ্র অঞ্চলটি দু’টি প্রশাসনিক জেলায় বিভক্ত৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৩টি ব্লক নিয়ে এবং উত্তর ২৪ পরগনার ছ’টি ব্লক নিয়ে সুন্দরবন গঠিত৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ব্লকগুলি হল সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, মথুরাপুর-১, ২, জয়নগর-১, ২, ক্যানিং-১, ২, বাসন্তী ও গোসাবা৷ অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ, হাসনাবাদ, হাড়োয়া, মীনাখাঁ ও সন্দেশখালি-১, ২৷ প্রশাসনিক সুবিধার জন্য ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে ভাগ হয় উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা৷

Advertisement

সুন্দরবনকে আলাদা ভাগে ভাগ করে প্রশাসন চালানোর পরিকল্পনা নতুন নয়৷ ইংরেজ আমলে ১৮১৬ সালে ২৬ এপ্রিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সুন্দরবনের জন্য নতুন কমিশনার নিয়োগ করেন৷ ৫ জুলাই স্কট সাহেব সুন্দরবনের প্রথম কমিশনার নিযুক্ত হন৷ ১৮২৮ সালে উইলিয়াম ড্যাম্পিয়ার সুন্দরবনের কমিশনার নিযুক্ত হন৷ আর তাঁর সহযোগী সার্ভেয়ার হিসাবে ছিলেন লেফটেন্যান্ট হাজেস৷ ড্যাম্পিয়ার ও হেজেস সুন্দরবনের জন্য যে সীমারেখা স্থাপন করেন, তা আজও মেনে চলেন সব সরকারি দফতর৷ সেক্ষেত্রেও ইংরেজরা ক্যানিংয়েই কমিশনারের অফিস বানান যা এখনও বর্তমান৷

Advertisement

নতুন সুন্দরবন জেলায় উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া, মিনাখাঁ, সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জকে যুক্ত করার পরিকল্পনা আছে প্রশাসনের৷ অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গোসাবা, বাসন্তী, ক্যানিং-১, ক্যানিং-২, কুলতলি, জয়নগর, রায়দিঘি এবং মথুরাপুর নিয়ে এই জেলা গঠন করা হবে৷ এ বিষয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি বি সেলিম বলেন, “ক্যানিংয়ে জেলা সফর করে প্রশাসনিক কাজকর্ম শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে৷ খুব শীঘ্রই তা কার্যকরী হবে৷”

সুন্দরবন জেলা করার পরিকল্পনা ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভাতে পাসও হয়েছে৷ তৈরি করা হয়েছে সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র৷ ক্যানিংকে সদর করলে সব অংশের মানুষ উপকৃত হবেন৷ এ বিষয়ে ক্যানিংয়ের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাস বলেন, “জেলা সদর করার জন্য প্রয়োজনীয় অফিস বানানো হচ্ছে৷ বেশ কয়েকটি দফতর নতুন অফিসে কাজও শুরু করেছে, যেখানে জেলা প্রশাসনের কাজকর্ম সম্ভব৷ আগামিদিনে পুরোদমে জেলার কাজ শুরু হলে আরও অফিস বানানো হবে, তারজন্য জমিও বরাদ্দ করা হয়েছে৷” শুধু সুন্দরবন জেলা নয় ভোটের আগের ঘোষণামতো খুব শীঘ্রই শুরু হবে বসিরহাট, আসানসোল-সহ রাজ্যের আরও পাঁচটি জেলার কাজ, এমনই দাবি প্রশাসনের৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ