১৪ আশ্বিন  ১৪৩০  সোমবার ২ অক্টোবর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

করোনা কালে EMI দিতে না পারার ‘শাস্তি’, ব্যাংকের ভিতরই বেধড়ক মার গ্রাহককে!

Published by: Tiyasha Sarkar |    Posted: June 3, 2021 1:51 pm|    Updated: June 3, 2021 6:37 pm

Man allegedly assaulted by bank workers for non payment of dues

প্রতীকী ছবি।

অর্ণব দাস, বারাসত: করোনা (Corona Virus) পরিস্থিতিতে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। কোনওরকমে দিন গুজরান করছেন বহু মানুষ। এই অবস্থায় ইএমআই (EMI) পরিশোধ অধিকাংশের কাছেই রীতিমতো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বকেয়া কিস্তি মেটানো নিয়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকে আবেদন করতে গিয়ে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার এক যুবক। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তির নাম বিপুল শাহ। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বরানগরের বাসিন্দা তিনি। কিছুদিন আগে বরানগরের একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাইক কিনেছিলেন। এসি সার্ভিসিং-এর যুক্ত ওই যুবকের প্রতি মাসে ইএমআই হিসেবে দিতে হত ২৮০০ টাকা। মার্চ পর্যন্ত ঠিক মতোই টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি কারণে গত কয়েকমাস ধরে টাকা দিতে পারছিলেন না বিপুল। পরে মে মাসে তিনি টাকা দেন। এই পরিস্থিতিতে হঠাৎই ব্যাংকের তরফে ওভারডিউর টাকা কেটে নেওয়া হয়। সেই কারণেই এদিন ব্যংকে যান ওই যুবক।

[আরও পড়ুন:  ঘরবন্দি পড়ুয়াদের পাঠে আগ্রহ ফেরাতে ‘মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ দেবে স্কুল, সিদ্ধান্ত সরকারের]

বিপুল শাহ জানান, কেন টাকা কেটেছে তা জানতে ও নিজের পরিস্থিতি জানাতে ব্যাংকে গিয়েছিলেন তিনি। লিখিত আবেদন সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাংক তার কোনও কথাই শোনেনি। উল্টে ব্যাংকের ভিতরেই বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। এরপরই বরানগর থানায় যান বিপুল। অভিযোগ, সেখানে তাঁর অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এরপর যান মধ্যমগ্রাম থানায়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ব্যাংক জানিয়েছে, ওভারডিউর টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলার পর ওই ব্যক্তি এমন আচরণ করেন যে তাঁক বের করে দিতে বাধ্য হয়েছেন নিরাপত্তারক্ষী। তবে তাঁকে মারধর করা হয়নি।। ২০২০ সালে করোনা রুখতে জারি হয়েছিল লকডাউন। আড়াই মাসের বন্দিদশায় কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। পরে আনলক পর্যায়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করে জনজীবন। এই পরিস্থিতিতে চলতি বছরের মার্চ মাসে ফের ঊর্ধ্বমুখী হয় রাজ্যের কোভিড গ্রাফ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক ক্ষেত্রে জারি করা হয় নিষেধাজ্ঞা। যার ফলে ফের আর্থির সমস্যার সম্মুখীন হন বহু মানুষ।

[আরও পড়ুন: মাত্র ৪০ কিলোমিটার রাস্তা যেতে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা চাইল অ্যাম্বুল্যান্স! দায়ের অভিযোগ]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে