সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নকল সোনা। তা জমা দিয়েই ব্যাংক থেকে মিলল ঋণ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় বীরভূমের রামপুরহাটে। নকল সোনা জমা দিয়েই নাকি জনা সাতেক প্রতারক একটি বেসরকারি ব্যাংকের স্থানীয় শাখা থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন। কিন্তু নিখুঁত পরীক্ষানীরিক্ষার ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ওই নকল সোনা জমা নিল ব্যাংক তা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল কর্মীদের মধ্যে। ব্যাংকের একজন কর্মীরও জড়িয়ে থাকার অভিযোগ উঠছে। ম্যানেজারের অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
প্রতারণা চক্রটি কাজ করছিল দীর্ঘদিন ধরেই। গত এক বছর ধরে দফায় দফায় নকল সোনা জমা দিয়ে ঋণ নিয়েছে ওই ৭ জন। অভিযোগ, সুমিত সিনহা নামে ব্যাংকেরই এক কর্মী নকল সোনা জমা দিতে সাহায্য করতেন ওই প্রতারকদের। অভিযোগ গ্রাহক সেজে নকল সোনা ব্যাংকে জমা দিত ওই ৭ প্রতারক। সোনা পরীক্ষা করে তা আসল বলে চালিয়ে দিতেন সুমিত সিনহা। তাঁর অনুমোদনের ভিত্তিতেই লোন পেত অভিযুক্ত সাত গ্রাহক। এই ঘটনায় স্থানীয় এক স্বর্ণ ব্যাবসায়ীও জড়িত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয়দের ধারণা ওই স্বর্ণ ব্যাবসায়ীর দোকান থেকেই নকল সোনা তৈরি করা হত।
এতদিন পর্যন্ত ঠিকঠাকই চলছিল গোটা চক্রটি। গোল বাদল ব্যাংকের বার্ষিক অডিটের সময়। সোনা পরীক্ষা করতে গিয়ে কারসাজি ধরে ফেললেন অডিটর সতীশচন্দ্র সাঁই। তিনিই প্রথম বুঝতে পারেন যে সোনা জমা নিয়ে ঋণ দেওয়া হয়েছে তা নকল। সুমিত সিনহার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে কর্মীদের মধ্যে। ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাংকে আসা বন্ধ করে দেন সুমিত।এরপরই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। ওই ব্যাংক কর্মী এবং ৭ জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ম্যানেজর নীহারিকা জয়সওয়াল।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ হরি দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। ঘটনা জানাজানি হতে অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মী এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীও গা ঢাকা দিয়েছেন বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.