বিক্রম রায়, কোচবিহার: রাজ্যে ফের গণপিটুনিতে মৃত্যু। এবার জামাইকেই পিটিয়ে মারল শ্বশুরবাড়ির লোকেরা! ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের দিনহাটায়। দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রাস্তায় নেমে শাশুড়ি-বউমার চুলোচুলি, তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ স্বামী-শ্বশুরের]
মৃতের নাম অমল চক্রবর্তী। বাড়ি, দিনহাটা শহর লাগোয়া কৃষিমেলার মাঠে। মৃতের প্রতিবেশীদের দাবি, অমলের আগে একবার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বছর চারেক আগে ভালবেসে পূজা রায় সিংহ নামে যুবতীকে বিয়ে করেন অমল। দ্বিতীয় স্ত্রীর বাপের বাড়ি দিনহাটারই বড়শোলমারি রায়তারি গ্রামে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর পুজাকে বিয়ে করেছিলেন ওই যুবক। কিন্তু ডিভোর্সি পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না পূজার পরিবারের লোকেরা। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে শিলিগুড়িতে থাকতেন অমল। তবে দিনহাটায় বাপের বাড়িতে যাতায়াত ছিল পুজার।
মৃতের পরিবারের লোকেদের দাবি, দিন পনেরো আগে দিনহাটায় আসেন পূজা। কিন্তু তাঁকে শিলিগুড়িতে অমলের কাছে যেতে দিচ্ছিলেন না পরিবারের লোকেরা। শেষপর্যন্ত শনিবার রাতে স্বামীকে ফোন করে তাঁকে নিয়ে যেতে বলেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু অমল যখন শ্বশুরবাড়িতে যান, তখন তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় অমল চক্রবর্তীকে দিনহাটা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে ওই যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনায় মৃতের শ্বশুর ও মামাশ্বশুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এদিকে মেয়ে যে জামাইকে আসতে বলেছিল, সেকথা অস্বীকার করেছেন পূজার বাপের বাড়ির লোকেরা। তাদের পালটা দাবি, অমল নিজেই মদ্যপ অবস্থায় বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসে। রাতে বাড়ির সামনে রীতিমতো হইহট্টগোল করছিল সকলে। বাধা দিতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে মৃতের স্ত্রীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ার ‘সুরসম্রাজ্ঞী’, মুম্বই থেকে ডাক পেলেন রানাঘাটের রানু]