Advertisement
Advertisement
মায়ের হয়ে ভোট

আঙুলে কালি ছাড়াই ভোট, কারচুপির অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকায় প্রশ্ন

ভোটারের আঙুলে কালি দিতে ভুলে গিয়েছেন, সাফাই প্রিসাইডিং অফিসারের৷

Man casts vote on behalf of his mother in a booth at Balagarh in Hooghly
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 6, 2019 1:11 pm
  • Updated:May 6, 2019 6:03 pm

মণিশংকর চৌধুরি ও সৌম্য মুখোপাধ্যায়: মায়ের হয়ে ভোট দিয়ে দিলেন ছেলে৷ শুধু একসঙ্গে পরপর দু’টি ভোট দেওয়াই নয়৷ কারচুপি করা ওই ভোটারের আঙুলে কালি লাগানো হয়নি বলেও অভিযোগ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির বলাগড়ের শেরপুর সুবর্ণপ্রভা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের বুথে৷

[ আরও পড়ুন: বুথে ঢুকে চামড়া গুটিয়ে নেওয়ার ‘হুমকি’ লকেটের, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন]

নির্দিষ্ট সময়েই সোমবার রাজ্যে শুরু হয়েছে পঞ্চম দফার নির্বাচন৷ ভোটাভুটি চলছে রাজ্যের সাতটি লোকসভা আসনে৷ বারাকপুর, হাওড়া, হুগলির একাধিক বুথে মিলেছে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর৷ তবে মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবেই চলছে ভোটাভুটি৷ হুগলির বলাগড়ের শেরপুর সুবর্ণপ্রভা নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যদিও সকাল থেকে বেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল ভোটগ্রহণ৷ কিন্তু আচমকাই দেখা যায়, মণীন্দ্র সেন নামে একজন ভোটার তাঁর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢোকেন৷ অভিযোগ, মা রেণুকা সেনের হয়ে ভোটও তিনি নিজেই দিয়ে দেন৷ তাতে বাধা দেননি নির্বাচনী আধিকারিকরা৷ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পর দেখা যায়, মণীন্দ্র সেনের দু’টি হাতের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠে টিপ ছাপ দেওয়ার জন্য নীল কালি লাগানো হয়েছে৷ তবে ভোট দিয়ে যে তিনি বেরোলেন সে কারণে আঙুলে কোনও কালি দেওয়া হয়নি৷ কেন আঙুলে কালি লাগানো ছাড়াই ভোট দিলেন মণীন্দ্র? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে যদিও এতটুকুও বিব্রত হলেন না ওই ভোটার৷ পরিবর্তে ভোটার মণীন্দ্র সেনের দাবি, ভোট দেওয়া তাঁর দায়িত্ব৷ তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেছেন৷ 

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় মারধর, শ্লীলতাহানির অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে]

তবে আঙুলে কালি লাগানোর দায়িত্ব নির্বাচনী আধিকারিকদের৷ তিনি অবশ্য ঢোঁক গিলে বললেন, ভোটারের আঙুলে কালি দিতে ভুলে গিয়েছেন৷ অর্থাৎ তাঁর কথাবার্তায় এটাই স্পষ্ট যে ভোটাধিকার গোটা ঘটনার জন্য দায়ী৷ ভোটারের আঙুলে কালি না লাগানোর ঘটনা যে অনুচিত, তা পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিয়েছেন প্রিসাইডিং অফিসারও৷ তবে একজন ভোটার কীভাবে নিজের এবং তাঁর মায়ের হয়ে কীভাবে ভোট দিতে পারেন? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রিসাইডিং আধিকারিকের দাবি, এজেন্টদের মতামত নিয়েই নাকি এমন কাণ্ড ঘটেছে৷ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ভিতর নির্বাচনী আধিকারিক নাকি এজেন্টদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত? এই ঘটনার পর উঠছে সেই প্রশ্নও৷ 

Advertisement

দেখুন ভিডিও: 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ