অর্ণব দাস, বারাসত: জেলেই মৃত্যু বিচারাধীন বন্দির। পরিবারের দাবি, জেলের মধ্যেই পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। পুলিশের দাবি মানতে নারাজ পরিবার। প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বারাকপুর-বারাসত রোডে।
মৃত যুবকের নাম সুপ্রিয় সাঁতরা। বয়স ২৭। উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে মোহনপুর এলাকার বাসিন্দা। গত ২৬ মে বন্ধুকে নিয়ে বারাসতের এক দোকানে দিয়েছিলেন মোবাইলের যন্ত্রাংশ কিনতে। সেকানে বারাসতের পুলিশ তাঁকে আটক করে। অভিযোগ করে, ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত সুপ্রিয়। আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এরপর মঙ্গলবার সকালে বাড়িতে খবর আসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
[আরও পড়ুন: বিপুল অর্থের বিনিময়ে সৌদি লিগে বেঞ্জেমা, ২ বছরের জন্য সই আল ইত্তিহাদে]
পুলিশের এই দাবি মেনে নিতে পারেনি মৃতের পরিবার। তাঁদের দাবি, পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে সুপ্রিয়কে। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তাঁর দেহ এসে পৌঁছয়। এরপরই এলাকাবাসীরা এবং পরিবারের লোকজন বারাকপুর-বারাসাত রোড বড় কাঠালিয়ার মোড় অবরোধ করে। তাঁদের দাবি ন্যায্য বিচার করতে হবে। দোষীদের শাস্তি দিতে হবে। মৃতদেহ রেখে রাস্তা অবরোধ করে স্থানীয়রা।