অর্ণব দাস, বারাকপুর: জুয়ার আসর ভাঙতে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়ে পুকুরে ঝাঁপ মেরেছিলেন এক যুবক। তার পর দু’দিন নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অবশেষে বুধবার সকালে আগরপাড়ার (Agarpara) উষুমপুর এলাকার পুকুর থেকে উদ্ধার হল যুবকের দেহ। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের তাড়া থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাঁদের দাবি, অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে যুবকের। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃত যুবকের নাম বিশাল দাস (২৬)। তারাপুকুর এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, দিন দুয়েকে আগে রাতে আগরপাড়া উষুমপুর বটতলা মাঠ সংলগ্ন একটি জায়গায় জুয়া খেলছিলেন তিনি। খবর পেয়ে জুয়ার ঠেক ভাঙতে হানা দেয় ঘোলা থানার পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুলিশের তাড়া খেয়ে পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন বিশাল। তাঁদের আরও অভিযোগ, বিশালকে উদ্ধার না করে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চলে যায়। যুবকের পরিবার সূত্রে খবর, গত দু’দিন বাড়ি ফেরেননি বিশাল। খোঁজ শুরু করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন সকালে পুকুরে বিশালের দেহ ভাসতে দেখেন। তড়িঘড়ি ঘোলা থানায় খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। কিন্তু বিশালের মৃত্যু ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব মৃতের পরিবার।
পরিবারের সদস্যদের প্রশ্ন, পুলিশ যখন দেখল বিশাল পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছেন তখন ঘোলা থানার পুলিশ কেন তাঁকে বাঁচাল না? কেন তাঁকে উদ্ধার না করে চলে গেলেন? যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, বিশাল দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মৃত যুবকের আত্মীয় প্রিয়া রায় দাস বলেন, “পুলিশের তাড়া খেয়ে পুকুরে ও ঝাঁপ দিয়েছে। কিন্ত পুলিশ তারপর কেন তাঁকে পুকুর থেকে তোলার ব্যবস্থা করল না? পরিবারের লোকজনকে পুলিশ কেন জানাল না? পুলিশের উদাসীনতার কারণেই বিশাল এভাবে অকালে চলে গেল। তাঁর মৃত্যুর জন্য পুলিশই দায়ী। আমরা এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি।” প্রতিবেশী অভিজিৎ রায় বলেন, “বিশাল খুব ভাল ছেলে ছিল। কিন্তু মাঝে মধ্যে সে তাস খেলতে বেরিয়ে যেত। দুদিন আগে রাতের দিকে বটতলার মাঠে তাস খেলতে গিয়েছিল। তারপর থেকেই বিশালের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বটতলার মাঠে তার শুধু জুতো উদ্ধার হয়েছিল। তার মৃত্যু আমাদের কাছে রহস্যের। আমরা ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.