চন্দ্রজিৎ মজুমদার, মুর্শিদাবাদ: বাড়ি তৈরি করবেন। আর সেজন্য ভিতও খোঁড়া শুরু করেছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার সাটিতাড়া গ্রামের বাসিন্দা দিনু শেখ। কিন্তু কাজ শুরু হতেই মাটির নিচ থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন একটি শ্রীকৃষ্ণের মূর্তি। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে প্রবেশিকা পরীক্ষা নয়, মাধ্যমিকের নম্বরেই অনলাইনে ভরতি নেওয়া হবে পলিটেকনিকে]
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালেই মূর্তিটি নজরে পড়ে দিনু শেখের। এরপরই এলাকায় খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। সেটি দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দিনু শেখের কাছ মূর্তিটি নেন বড়ঞা থানা ওসি নির্মল দাস। এরপরই তিনি যোগাযোগ করেন জেলার মিউজিয়ামের আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানেই প্রাথমিকভাবে মূর্তিটিকে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, প্রাচীন এই মূর্তিটি কষ্টিপাথরের তৈরি। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মূর্তিটির কোন সময়ের ও কী ধাতু দ্বারা নির্মিত তা জানানোর দায়িত্ব প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের। আর তাই তাঁদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: অনাদরে জলের নিচে শহিদবেদী! স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দাসপুরে অবহেলার নিদর্শন]
এদিকে, এই প্রসঙ্গে বড়ঞা ব্লকের BDO সাগর ঘোষ জানিয়েছেন, বাড়ির ভিত কাটতে গিয়ে পাওয়া ওই মূর্তিটি রাজা শশাঙ্কের আমলের। এমনকী গোপালের ওই মূর্তিটির মূল্য আনুমানিক কোটি টাকারও বেশি হতে পারে মনে করছেন তিনি। অন্যদিকে, এলাকার প্রাক্তন শিক্ষক জীতেন্দ্র নাথ ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘এটি সম্ভবত মহারাজা শশাঙ্কের সময়কারই। কারণ একটা সময় বড়ঞা থানার এই এলাকায় রাজা শশাঙ্ক রাজত্ব করতেন। পাশাপাশি এই সময় বিভিন্ন গ্রামে আখড়া করে হিন্দু দেব–দেবীদের পুজো করা হত। এলাকাটি বন্যাপ্রবণ হওয়ায় সম্ভবত কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় আখড়া ধ্বংস হয়ে গেলে মূর্তিগুলি মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। এবং আখড়ার লোকেরা অন্যত্র চলে যান।’’ সেই মূর্তিগুলোরই একটি এদিন উদ্ধার হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।