Advertisement
Advertisement

Breaking News

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে চলে এই দোকান, চায়ের টানে আসেন বিরোধীরাও

চা দেওয়া হয় লীল-সাদা কাপে৷

Man sells tea with Mamata Banerjee’s photo
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 6, 2018 7:23 pm
  • Updated:June 23, 2022 6:11 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: হলুদ হয়ে যাওয়া একটা খবরের কাগজের কাটিং৷ কাগজের শিরোনাম, ‘দিদি থাকবে’৷ পাশে কাঁপা হাতে লেখা ছিল ‘থাকবে চিরদিন’। সে লেখাও ধূসর মলিন হয়ে গিয়েছে। তাই এখন তার পাশে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি৷ তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস নয়, বীরভূমের সাঁইথিয়ার একটি চায়ের দোকান৷ দোকান মালিক মদনমোহন মহান্তর কাছে তৃণমূলনেত্রী দিদির মতো। শুধু দোকানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি টাঙানোই নয়, যে কাপে তিনি খদ্দেরদের চা দেন, সেই কাপগুলির রং নীল সাদা৷ এই রঙটা যে তৃণমূলনেত্রীর বড্ড প্রিয়! কিন্তু, মজার বিষয় হল, যে দোকানে পরতে পরতে তৃণমূল নেত্রীর ছোঁয়া, সেই দোকানে কিন্তু চা খেতে আসেন বিরোধী দলের সদস্যরাও৷

[বাগনানে তৃণমূল নেতা খুনে রাতভর পুলিশি অভিযানে গ্রেপ্তার ৮]

Advertisement

পেশা চা বিক্রি৷ বীরভূমের সাইথিঁয়ায় সবচেয়ে পুরানো চায়ের দোকানটি তাঁরই৷ কিন্তু, নিজেকে দিদির সৈনিক বলে পরিচয় দিতেই ভালবাসেন মদনমোহন মহান্ত৷ যেদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেদিন ‘দিদি’কে দেখতে দোকান বন্ধ রেখে কলকাতা গিয়েছিলেন৷ আর যদি মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমের সফরে আসেন, তাহলে তো কথাই নেই৷ যখন যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থাকেন, সেখানেই ছুটে যান মদনমোহনবাবু৷ তিনি কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য নন৷ তবে মমতার অন্ধভক্ত৷ তাই সাইথিঁয়া থানা মোড়ে নিজের চায়ের দোকানটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি তো টাঙিয়েছেনই, চায়ের কাপগুলিও নীল-সাদা৷ মদনমোহন মহান্ত বলেন, ‘থানা এলাকায় থাকি৷ দিদি আবার পুলিশমন্ত্রীও বটে। তাই সেক্ষেত্রেও একটা প্রেরণা।‘

Advertisement

সাইঁথিয়া শহরের থানা এলাকায় এই চায়ের দোকানে যাঁরা চা খেতে আসেন, তাঁদের মধ্যে অবশ্য কোনও রাজনৈতিক ভেদাভেদ নেই৷ শাসকদলের কর্মী-সমর্থক যেমন আসেন, তেমনি আসেন বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকরাও৷ চায়ের কাপে রাজ্য রাজনীতির হালহকিকত নিয়ে ঝড় তোলেন স্থানীয়রা৷ তা নিয়ে কোনও সমস্যাও নেই মদনমোহন মহান্তের৷ কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর নামে কেউ বদনাম করলেই প্রতিবাদ করেন তিনি৷ ওই চা ব্যবসায়ীর ধারণা, ‘দিদি’র জন্য তাঁর দোকানে খদ্দেরে অভাব হয় না৷

ছবি: সুশান্ত পাল

[কংগ্রেস ছাড়ার কথা ভাবছেন বরকত পরিবারের দুই সাংসদ

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ