শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় খোদ বিধায়কের বাড়িতেই রক্তারক্তি কাণ্ড! সালিশি সভায় ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম এক তৃণমূল কর্মী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি ভরতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনায় সিপিএমের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: কাটমানি ফেরতের দাবিতে জনরোষ, মঙ্গলকোটে উপপ্রধানের বাড়ি ভাঙচুর]
উত্তর দিনাজপুরে চোপড়া বিধানসভা কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে। বিধায়ক হামিদুল রহমানের বাড়ি চুটিয়োখোর পঞ্চায়েতের কাঁঠালবাড়ি গ্রামে। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে জমি বিবাদ মেটাতে তৃণমূল ও সিপিএম কর্মীদের নিয়ে সালিশি সভা বসেছিল বিধায়কের বাড়িতে। সভায় বিধায়ক নিজেও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সভা শুরু হতেই দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, আচমকাই বিধায়কের সামনেই তৃণমূল কর্মী হানিফ আলম ওরফে রাজুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় খুরশেদ আলি নামে এক যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজুকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল। এখন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি রাজু। তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে খোদ বিধায়কের বাড়িতে সালিশি সভায় এক যুবকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চোপড়ায় কাঁঠালবাড়ি গ্রামে। তৃণমূল বিধায়ক হামিদূর রহমানের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক গন্ডগোল পাকানোর জন্য সালিশি সভায় নিজেদের লোক ঢুকিয়েছিল সিপিএম। তারাই তৃণমূল কর্মী রাজুকে ছুরি মেরেছে। আর সিপিএমের পালটা দাবি, বিধায়কের অভিযোগ হাস্যকর। তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সালিশি সভায় দলের কর্মী উপস্থিত থাকতেই পারেন না। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। স্রেফ জমি নিয়েই, গ্রামগঞ্জে যেকোনও বিবাদে মেটাতেই দু’পক্ষকে নিয়ে সালিশি সভার বসানোর ঘটনা নতুন নয়। কিন্তু ঘটনা হল, এভাবে সালিশি সভা বসানো আইনসম্মত নয়। সেক্ষেত্রে নিজের বাড়িতেই কীভাবে সালিশি সভা বসালেন? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।