BREAKING NEWS

৭ চৈত্র  ১৪২৯  বুধবার ২২ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

পড়াশোনা করতে চায় মেয়ে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের চেষ্টা বাবার

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: February 9, 2018 9:20 am|    Updated: February 9, 2018 9:20 am

Man tried to kill her daughter by hanging in Alipurduar

রাজকুমার কর্মকার: স্কুলে যেতে চাওয়ার পরিণতি যে এতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা কল্পনাই করতে পারেনি ৯ বছরের কিশোরীটি। স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের চেষ্টা করল বাবা। সহযোগীর ভূমিকায় সৎমা। কোনওমতে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে সে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারে। তোলপাড় জেলা প্রশাসন। ওই ছাত্রী ও তার ২ বোনকে উদ্ধার করে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দিয়েছে শহরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যদিও মেয়েকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সৎমা সরলা মুণ্ডা।

[আনাড়ি ছেলেকে স্টিয়ারিং ধরিয়ে উধাও চালক, দুর্ঘটনায় স্কুলবাস]

আলিপুরদুয়ারের কদমতলা জুনিয়র হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ইন্দ্রাণী মুণ্ডা (নাম পরিবর্তিত)। বাড়ি আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের পাঁচকেলগুড়ি গ্রামে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী ইন্দ্রাণী। পড়াশোনা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় সে। কিন্তু, মেয়েকে পড়াশোনা করতে দিতে চান না ইন্দ্রাণীর বাবা দিলীপ মুণ্ডা ও তাঁর দ্বিতীয়পক্ষের স্ত্রী সরলা। ইন্দ্রাণীর উপর রীতিমতো অত্যাচার চালাতেন তাঁরা। গত কয়েক দিন ধরে তাকে স্কুলেও যেতে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার স্কুল যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইন্দ্রাণী। আর তাতেই অত্যাচারের মাত্রা চরমে পৌঁছয়। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তাকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে খুন করার চেষ্টা করে বাবা দিলীপ মুণ্ডা। এই কাজে তাকে সাহায্য করে ওই কিশোরীর সৎমা সরলা। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে কোনওমতে রক্ষা করেন ইন্দ্রাণীকে। বুধবার ফের লুকিয়ে স্কুলে যায় সে।

আনাড়ি ছেলেকে স্টিয়ারিং ধরিয়ে উধাও চালক, দুর্ঘটনায় স্কুলবাস ]

প্রধানশিক্ষক অনুপস্থিতির কারণে জানতে চাইলেও, প্রথমে কিছু বলেনি ইন্দ্রাণী। কিন্তু, শেষপর্যন্ত ভেঙে পড়ে সে। প্রধানশিক্ষককে গোটা ঘটনার কথা জানায়। শিউরে ওঠেন কদমতলা জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক রাকেশ প্রধান। স্থানীয় বিডিও-কে ফোন করেন তিনি। বিডিও মারফৎ খবর পান আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকও। প্রধানশিক্ষকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন। ইন্দ্রাণী ও তার ২ বোনকে উদ্ধার করে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন,  ‘এখনও পর্যন্ত মেয়েটির বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। মেয়েটির বয়ানের ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।” তবে এতকিছুর পরেও মেয়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইন্দ্রাণীর সৎমা সরলা মুণ্ডা। তাঁর দাবি, ‘ওকে শাসন করা হয় ঠিকই। কিন্তু গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ মিথ্যা।’

ছবি: শীলা দাস

 

[মৃত পুলিশ অফিসারই সাক্ষী! সিউড়ি আদালতে শোরগোল]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে