Advertisement
Advertisement
Mangalkot TMC leader murder case

‘৩ দিনের মধ্যেই গ্রেপ্তার হবে দোষীরা’, মঙ্গলকোটে নিহত TMC নেতার পরিজনদের আশ্বাস অনুব্রতর

তৃণমূল নেতা খুনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্তে SIT গঠন।

Mangalkot TMC leader murder case: TMC leader Anubrata Mandal meets with victim's family । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 14, 2021 2:52 pm
  • Updated:July 16, 2021 1:19 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: মঙ্গলকোটে (Mangalkot) তৃণমূল নেতা অসীম দাসের হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদে সিট গঠন করা হল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ সদস্যের এই বিশেষ তদন্তকারী কমিটিতে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার (গ্রামীণ) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব দাস, কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কৌশিক বসাক। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ওসি এসওজি, মঙ্গলকোট থানার আইসি, খন্ডঘোষ থানা এবং জামালপুর থানার ওসি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষ থানার ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত এবং জামালপুর থানার ওসি মিথুন ঘোষ এই দু’জনেই একসময় মঙ্গলকোট থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন। তাই মঙ্গলকোট এলাকা সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এলাকার ভৌগোলিক অবস্থানের পাশাপাশি বিভিন্ন অপরাধীদের সম্পর্কে তাঁদের ধারণা রয়েছে। এই অভিজ্ঞতা তদন্তে সাহায্য করতে পারে মনে করেই প্রসেনজিৎ দত্ত এবং মিথুন ঘোষকে তদন্তকারী কমিটির মধ্যে রাখা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যায় কাশেমনগর বাজার থেকে বাইকে করে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তায় আটকে গুলি করে খুন করা হয় লাখুড়িয়া অঞ্চল তৃণমূল (TMC) সভাপতি অসীম দাসকে। তারপর থেকে এখনও ওই খুনের ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে ও এলাকায় ঘুরে যায় সিআইডির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা হত্যাকাণ্ডে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই বিশেষ তদন্তকারী কমিটি বা ‘সিট’ গঠন করা হল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠ ছবি Viral করার হুমকি দেওয়ায় আত্মঘাতী ক্যারাটেকা বালির পামেলা, অপরাধ কবুল ধৃতের]

মঙ্গলবার অসীম দাসের ময়নাতদন্তের আগে শরীরের ভিতরে গুলির অবস্থান জানতে মৃতদেহের এক্স রে করা হয়।চিকিৎসকরা জানতে পারেন, পাঁজরের হাড় ভেদ করে আটকে রয়েছে গুলিটি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি গুলি করা হয়েছিল অসীম দাসকে। তবে গুলিটি ছিল মাপে যথেষ্ট বড়। গুলির মাপ দেখে তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারণা, থ্রি নট থ্রি রাইফেল জাতীয় আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছিল অসীম দাসকে। এছাড়া পেশাদার হাতেই গুলি চালানো হয় বলে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকরা। ঘটনার পর পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ (Police)। এই খুনে কে কে ছিল, কার বা কাদের নির্দেশে অসীম দাসকে খুন করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বুধবার বিকেলে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলকোটের সিউর গ্রামে যান বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন,”রাজনৈতিক কারণেই অসীমকে খুন করা হয়েছে এটা নিশ্চিত। খুনিরা বিজেপির হতে পারে। বিজেপির বাইরেও হতে পারে। আবার যারা জেল খেটে এসেছে তারাও হতে পারে। ৩ দিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে। একেবারে সাজা করে দেওয়া হবে। চ্যালেঞ্জ করে বলছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: বকখালিতে ডুবে গেল ট্রলার, নিখোঁজ অন্তত ১০ জন মৎস্যজীবী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ