মনিরুল ইসলাম, হাওড়া: বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই ডেকরেটার্সের দোকান। শুক্রবার গভীর রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার বাগনানের দেউলটি এলাকায়। অগ্নিকাণ্ড নিয়ে চলছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, ওই ডেকরেটার্সের মালিক তাঁদের সক্রিয় কর্মী। তাই তৃণমূল চক্রান্ত করে দোকানে আগুন লাগিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
শুক্রবার গভীর রাতে ওই ডেকরেটার্সের দোকানে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই দোকানের মালিক জগবন্ধু পালকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। তিনি তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। খবর দেওয়া হয় দমকলেও। খবর পেয়েই দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। যদিও ততক্ষণে গোটা দোকানই ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে। দোকান মালিক জগবন্ধু পাল বলেন, “দোকানের ভিতরে থাকা ডেকরেটার্সের যাবতীয় মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ফলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল।এই ঘটনায় খুবই বিপদে পড়লাম।”
যেহেতু দোকান মালিক একজন বিজেপি কর্মী তাই স্বাভাবিকভাবেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। তৃণমূল নাকি বিজেপি কারা এই ঘটনায় জড়িত, তা নিয়ে চলছে দড়ি টানাটানি। হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার বিজেপির সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, “দোকান মালিক জগবন্ধু বহুদিনের সক্রিয় বিজেপি কর্মী। বহুবার তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে হুমকি দিয়েছিল। দোকান যাতে সুরক্ষিত থাকে সেদিকে নজরও রেখেছিলেন তিনি। লাগানো হয়েছিল সিসিটিভি। তাই তৃণমূলের কোনও অশান্তি লাগাতে অসুবিধা হচ্ছিল। দোকানে লাগানো ওই সিসিটিভি সরিয়ে নেওয়ার জন্যও হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে সিসিটিভি খুলে দেন জগবন্ধু। তারপর তৃণমূল এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।” তৃণমূল বিধায়ক অরুণাভ সেন গেরুয়া শিবিরের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পালটা তিনি বলেন, “তৃণমূল কারও বাড়িতে আগুন লাগিয়ে অমানুষের মতো কাজ করে না। এটা বিজেপি দলীয় কর্মী নিজেরাই করেছে। তারপর তারা তৃণমূলের ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে। আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিক।” এই ঘটনায় বাগনান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.