ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: বাবা ম্যানেজার, ছেলে ক্যাশিয়ার। কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের শাখা খুলে দিব্যি গ্রাহকদের থেকে টাকা তুলছিলেন বাবা-ছেলে। বছর তিনেক ধরে এই কারবার চালানোর পর প্রায় পাঁচ কোটি আত্মসাৎ করে উধাও দুজন। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার এই ঘটনায় অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ। সঞ্চয়ের বিপুল টাকা চলে যাওয়ায় প্রায় ২ হাজার গ্রাহক এখন আতান্তরে।
[বীরভূমে বেআইনি বালি খাদানের বলি ছাত্র]
কৃষি প্রধান এলাকা হাবড়া। বারাসত মহকুমার এই এলাকায় ছয়ের দশকে একটি কৃষি সমবায় ব্যাঙ্ক হয়েছিল। গ্রাহকদের চাহিদার জন্য হাবড়ার আবাদ সোনাকেনিয়া এলাকায় সমবায় ব্যাঙ্কের একটি শাখা খোলা হয়। স্থানীয় ব্যক্তি কুদ্দুস মোল্লা এই শাখাটি চালাতেন। কুদ্দুস ওই শাখার ম্যানেজার ছিলেন, তাঁর ছেলে আজহারউদ্দিন ছিলেন ক্যাশিয়ার। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর তিনেক আগে কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের সঙ্গে ওই শাখার লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। যার জন্য ঋণ চাইলেও গ্রাহকরা ঋণ পাননি। অভিযোগ, এই খবর চেপে যান বাপ-ছেলে। দিব্যি গ্রাহকদের থেকে টাকা জমা রাখার কাজ তাঁরা চালিয়ে যান। গত সোমবার ব্যাঙ্কে গিয়ে গ্রাহকরা দেখেন ঝাঁপ বন্ধ। ব্যাঙ্কের পাশেই কুদ্দুসের বাড়ি। তার বাড়িও তালা। এই অবস্থায় গ্রাহকদের মাথায় বাজ পড়ার অবস্থা হয়। নিজেদের গচ্ছিত টাকা না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন গ্রাহকরা। অনেকেই তাদের সঞ্চয়ের বড় অংশ ওই শাখায় রেখেছিলেন। ওই সমবায় ব্যাঙ্কের শাখায় প্রায় ২ হাজার গ্রাহক রয়েছে। কুদ্দুস ও আজহার ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পরিবার নিয়ে উধাও হয়ে যায়। পুলিশ কুদ্দুসের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়।
ছবি : প্রতীকী