সুব্রত যশ, আরামবাগ: সাত মাস ধরে পর্যায়ক্রমে সাত ব্যক্তি ধর্ষণ করে এক মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে। তার ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই মহিলা। তিনি এখন সাত মাসের গর্ভবতী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির খানাকুল থানার হরিশচক এলাকায়। মহিলার পরিবারের লোক খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবেশী সাত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল খানাকুল থানার পুলিশ।
[বউদির সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত স্বামী, প্রতিবাদ করায় গৃহবধূকে খুন]
স্থানীয় মানুষ জানায় এই মেয়েটি একেবারেই সহজ সরল যে যখন যে দিকে ডাকে তখনই সেদিকে চলে যায়। ধর্ষিতা মহিলার ভাই খানাকুল থানায় সাত জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই খানাকুল থানার পুলিশ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে। নির্যাতিতার ভাইয়ের বক্তব্য, “আমার দিদি খুবই সাদামাটা জীবনযাপন করে এবং মস্তিষ্কের কিছু সমস্যা রয়েছে, সেই কারণে দিদির বিয়েও হয়নি। কে ভাল লোক, কে খারাপ লোক বোঝার মতো ক্ষমতা তার ছিল না। তার কারণে আজকে এই পরিণতি। কিন্তু সে পরিষ্কারভাবে বলতে পেরেছে কে কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেই পরিপ্রেক্ষিতেই তাদের বিরুদ্ধে আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। প্রত্যেকেরই বয়স ৪০ এর ঊর্ধ্বে। আমরা চাই একটা সহজ সাদাসিধে যার মস্তিষ্ক ঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না সেই মেয়েকে নিয়ে যারা এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কঠোর শাস্তি হোক।”
[দায়িত্বে এসে জেলাশাসক নিয়ে মুখে কুলুপ ইনচার্জের, ফেসবুকে ‘নিখোঁজ’ স্ত্রী নন্দিনী]
আরামবাগ থানার এসডিপিও কৃশানু রায় জানান, সাত জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল থানায়। পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে আরামবাগ মহকুমা আদালতে পাঠিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।