সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: কাঙালি ভোজন কিংবা বস্ত্রদান, বাবা-মার স্মৃতিতে এমন কাজ তো অনেকেই করেন। কিন্তু, মেরিট টেস্ট? এক স্কুল শিক্ষকের অভিনব উদ্যোগে সাড়া পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি শহরে। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রয়াত বাবা ও মায়ের নামে মেরিট স্টেট বা বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেছেন ওই শিক্ষক। শুধু তাই নয়, সফল পরীক্ষার্থীদের পুরস্কৃতও করেন তিনি।
[সম্পত্তি হাতাতে মহিলার বাড়ি পুড়িয়ে দিল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা]
পেশায় স্কুল শিক্ষক। ছাত্র পড়িয়েই কাটে দিনের বেশিরভাগ সময়। স্রেফ দানধ্যান নয়, প্রয়াত বাবা-মায়ের স্মৃতিতে অভিনব কিছু করতে চেয়েছিলেন শিলিগুড়ির হায়দরপাড়া বুদ্ধভারতী স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপনেন্দু নন্দী। শুধু অভিনব বললে অবশ্য ভুল হবে। ওই স্কুল শিক্ষক এমন কিছু করতে চেয়েছিলেন, যাতে প্রকৃত অর্থেই সমাজের উপকার হয়। আর তখনই মেরিট টেস্ট বা বৃত্তি পরীক্ষার চালুর ভাবনাটি মাথায় আসে তাঁর। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। বিগত তিন বছর ধরে বিমলেন্দু নন্দী ও বেলা নন্দীর নামে মেরিট টেস্ট আয়োজন করছেন স্বপনেন্দু নন্দী। চলতি বছরের নভেম্বরে এই পরীক্ষার বসেছিল শিলিগুড়ি ২৯টি শিশু বিদ্যালয়ের ৮১২ জন পড়ুয়া। মঙ্গলবার মেরিট টেস্টের ফলও ঘোষণা হয়ে গেল। ১৩ জানুয়ারি সফল পরীক্ষার্থীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
শিলিগুড়ির হায়দরপাড়া বুদ্ধভারতী স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপনেন্দু নন্দীর বক্তব্য, “একদিন খাইয়ে, কিংবা বস্ত্রদান করে মানুষের দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সমাধান করা যাবে না। তাই শিক্ষাদানের চেয়ে ভাল কোনও দান হতে পারে না বলে মনে করি। যতদিন জীবিত থাকব, এই পরম্পরা এগিয়ে নিয়ে যাব।” স্কুল শিক্ষকের এমন উদ্যোগে সাড়া পড়ে গিয়েছে শিলিগুড়িতে।
[ ১৫ দিনের শিশুকে বাড়ির পুকুরে ফেলে দিল পরিজনরাই!]