সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: থার্মোমিটার বলছে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সামান্য হলেও বেড়েছে। কিন্তু ঠান্ডার কামড়? আমজনতার অনুভূতি অবশ্য বলছে, শীতের ধাক্কা এতটুকুও কমেনি। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মকর সংক্রান্তি পর্যন্ত মোটামুটি এমনই চলবে। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে ১১-১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বাড়লেও বজায় থাকবে ঠকঠকানি।
[খোঁজ নেয়নি আত্মীয়রা, ১৭ বছর হাসপাতালে থেকেই মৃত্যু বৃদ্ধের]
গত কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে তাপমাত্রা। কিন্তু সেই তুলনায় ঠান্ডা কমেনি। বরং একটু হলেও কনকনানি বেশি মালুম হচ্ছে। ভর সন্ধ্যাতে খাস ধর্মতলা চত্বরে দাঁড়িয়ে মনে হবে কানটা ঢাকতে পারেল যেন ভাল হয়। কারণ হিসাবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর দায়ী করছে উত্তুরে হাওয়ার অবাধ দাপাদাপিকে। তাদের বক্তব্য, মেঘমুক্ত আকাশ এতটাই পরিষ্কার যে, এই হিমালয়ের বরফ ছুঁয়ে আসা ওই বাতাসের সামনে পাঁচিল তোলার মতো কোনও পরিবেশ নেই। উপরন্তু দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে ফারাক তেমন কমেনি। ফলে শীত মাটি কামড়েই বসে আছে। “তাপমাত্রা বাড়লেও তা স্বাভাবিকের নিচে থাকবে। বজায় থাকবে শীতের আমেজ।”–পূর্বাভাস কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের উপ মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর কথায়, উত্তরবঙ্গে বাড়বে কুয়াশার দাপট। শৈত্যপ্রবাহ থাকবে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে।
[তামিলনাড়ুতে বাঙালি শ্রমিকের রহস্যমৃত্যু, দুর্ঘটনা মানতে নারাজ পরিবার]
এদিকে, বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। অবিশ্বাস্যভাবে এদিন দমদমের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল আটের ঘরে। এদিন দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৯ ডিগ্রি। শহরের পাশাপাশি একটু হলেও বেড়ে গিয়েছে শহরতলির তাপমাত্রা। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। শ্রীনিকেতনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬.৭ ডিগ্রি। পানাগড় ৬.৮। মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, পুরুলিয়ায় শীতের কামড় অব্যাহত। কোচবিহার, কালিম্পংয়ে তাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি। রবিবার পর্যন্ত ঠান্ডার অনুভূতি থাকলেও তার পর থেকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।