Advertisement
Advertisement
পরিযায়ী শ্রমিক

শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ সোনা, ধৃত দিল্লি ফেরত রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক

ধৃতদের কাছ থেকে নগদ ১১ লক্ষ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে।

Migrant labourer arrested with gold from West Medinipur's Hijli
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 13, 2020 2:03 pm
  • Updated:June 13, 2020 2:15 pm

অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন থেকেই উদ্ধার ৭০০-৮০০ গ্রাম সোনা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে নগদ ১১ লক্ষ টাকাও। এই ঘটনায় দিল্লি ফেরত দু’জন পরিযায়ী শ্রমিককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে দিল্লি-ভুবনেশ্বরগামী ট্রেন থেকেই হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। জানা গিয়েছে, তারা ঘাটালের বাসিন্দা। এত নগদ টাকা এবং সোনা তাদের কাছে কোথা থেকে এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

দিল্লি থেকে ভুবনেশ্বরগামী শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে প্রায় ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের সোনা নিয়ে কেউ সওয়ার হয়েছে বলেই খবর পায় রেলপুলিশ। সেই অনুযায়ী দিল্লি-ভুবনেশ্বরগামী ওই ট্রেনে তল্লাশি চালানো হয়। তাতেই মেলে সাফল্য। একটি কামরায় থাকা বেশ কয়েকজনকে দেখে সন্দেহ হয়। এক শিশু-সহ দুই যাত্রীর ব্যাগে তল্লাশি চালানো হয়। ওই ব্যাগের ভিতর থেকে ৭০০-৮০০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়। যার বাজারদর কমপক্ষে ২০-৩০ লক্ষ টাকা। এছাড়া তাদের কাছ থেকে নগদ ১১ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় সুভাষ সামন্ত এবং পলাশ কাঁঠাল নামে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তারা দু’জনেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দা। তাদের পশ্চিম মেদিনীপুরের হিজলি স্টেশনে নামার কথা ছিল। তারা দিল্লিতে সোনার কাজ করে বলেই জেরায় জানায়। সেখান থেকে তারা ৭০০-৮০০ গ্রাম সোনা নিয়ে ট্রেনে সওয়ার হয় বলেই দাবি ওই দু’জন। তবে তাদের সঙ্গে থাকা সোনার কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তারা। কোথা থেকে তাদের কাছে এত সোনা এল, তা তারা পরিষ্কার করে কিছুই জানানো হয়নি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে বজায় থাকছে সামাজিক দূরত্ব? বলে দেবে খড়্গপুর আইআইটির তৈরি অত্যাধুনিক যন্ত্র]

করোনা পূর্ববর্তী পরিস্থিতিতে বেশি আয়ের কথা ভেবে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন রাজ্যের বহু মানুষ। তবে লকডাউনের ফলে ভিনরাজ্যে ঘোর বিপাকে পড়েন তাঁরা। শুধুমাত্র অর্থের অভাবে খাবারও পাননি অনেকেই। বহু কষ্ট করে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে চড়ে কোনওক্রমে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা। তবে তা সত্ত্বেও দিল্লি থেকে ফেরা ওই শ্রমিকদের কাছে কীভাবে ৭০০-৮০০ গ্রাম সোনা এল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তাদের দেখে কার্যত তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে থাকা অন্যান্য যাত্রীরাও। সোনাগুলি চোরাই বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান রেলপুলিশের। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছুই বলা সম্ভব নয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পেট চালাতে কাঁকড়া ধরতে যাওয়াই কাল, বাঘের হামলায় কুলতলিতে প্রাণ গেল এক মৎস্যজীবীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ