Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিযায়ী শ্রমিক

করোনা পরীক্ষা ছাড়াই মুক্ত কোয়ারেন্টাইনে থাকা শ্রমিকরা, বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা

ভিনরাজ্যে থাকা শ্রমিকদের কেন ছাড়া হল, তা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে।

Migrant labourers release from quarantine centre by violates health norm
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 24, 2020 8:11 pm
  • Updated:May 24, 2020 8:31 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ পরিযায়ী শ্রমিকদের। রবিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের দাশরথি হাজরা মেমোরিয়াল কলেজের কোয়ারেন্টাইনে থাকা শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিক খাবার ফেলে তুমুল বিক্ষোভ দেখান। আর তারপরেই চাপে পড়ে এদিন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ভাতারে। ভিনরাজ্য থেকে ফেরা পাঁচ শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিকদের সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট হাতে না মেলার আগেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে মুক্ত করে দেওয়া হল। তবে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে চাপানউতোর।

পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়ের কথায়, ” বিষয়টি আমার জানা নেই। ওটা হয়ত স্থানীয়ভাবে প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ” কোয়ারেন্টাইনে রাখা সকলকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়নি। শুধুমাত্র যাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাঁদেরই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।” যদিও এদিন দেখা যায় লালারসের নমুনা নেওয়া হয়নি তেমন অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিকও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছাড়া পান। আর এই ঘটনার পর স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিলেও সকলে তা মানবেন না। তাই এলাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এখন পাড়ায়-পাড়ায় জেনারেটরের বিকট শব্দ, শিকেয় শব্দদূষণ রোখার বিধিনিষেধ]

ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধক্ষ্য মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, ” আমাদের তত্ত্বাবধানে এরুয়ার হাইস্কুল ও বালিকা বিদ্যালয়ে ৩৫ জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশে তাঁদের বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছে।” তবে এদিন ভাতার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। 

Advertisement

স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ভাতার থানা এলাকায় গত চার-পাঁচদিনের মধ্যে যেসব পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। সেখান থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছিল। ভাতার থানা এলাকায় বিভিন্ন স্কুল এবং ওড়গ্রামে জেলা পরিষদের বাংলো মিলিয়ে ৮ টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঁচশোর বেশি পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কিছুজনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কয়েকজনের রিপোর্টও চলে আসে। তবে গত তিনদিনের মধ্যে ভাতারে করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট নেই।

[আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ’, নির্যাতিতার পরিজনদের গণপিটুনিতে খুন অভিযুক্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ