নন্দন দত্ত, বীরভূম: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বীরভূম সফরে গিয়েছে ববি হাকিম (Bobby Hakim)। সেখান থেকেই বিরোধীদের নিশানা করলেন পুরমন্ত্রী। রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে বললেন, “দরকারে আমাকে মারো, গরীবদের মেরো না।”
মঙ্গলবার বীরভূমের মাড়গ্রাম হাতিবাঁধ মোড়ে সভা করেন ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই বিরোধীদের একহাত নেন তিনি। তোলেন ২ ফেব্রুয়ারি মাড়গ্রামের ২ তৃণমূল কর্মী খুন প্রসঙ্গ। ফিরহাদ বলেন, “হঠাৎ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হল কেন? শহিদের পরিবারের পাশে থেকে লড়াই করব। ১২ জনকে ধরা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সবাইকে ধরতে হবে। ভাল উকিল দিতে হবে। খুন করলে যাবজ্জীবন হবে। তৃণমূল কর্মীদের প্রাণ মগের মুলুক নয়। বিজেপির মারধর কারবার চলছে। মমতার উন্নয়নের সঙ্গে টিকে থাকতে না পেরে অশান্তি করছে।”
এদিন অমিত শাহকে মোটা বলে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ। বলেন, “ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনেছিলেন অমিত শাহ। বলেছেন এখানে অপারেশন করে ঝড়খণ্ডে পালিয়ে যাও। মোটা মানুষটা সিউড়িতে এসে বলছেন, এবার ৩৫ টি আসন পাবেন! বুদ্ধবাবুও বলেছিলেন, তোমরা ৩০ আমরা ২৩৫। তাঁরা এখন ফিনিশ।” ফিরহাদের কথায়, “বিজেপি-কংগ্রেস সেটিং চলছে। কিছুদিনের জন্য বোকা বানানো যায়। দীর্ঘদিন ধরে নয়। দরকারে আমাকে মারো। গরিবদের মারবে না।
এদিন ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গ তুলে ফিরহাদ বলেন, “একদিকে টাকা দিয়ে হামলা করছে অন্যদিকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যেন সাঁড়াশি আক্রমণ। তবে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। আমাদের আটকাতে পারবে না। ভগবানের দেখানো পথেই মমতা এগোচ্ছে। সন্ত্রাস শেষ কথা বলবে না। লড়াই বিরোধীদের বিভাজনের নীতির সঙ্গে। হিজাবের সঙ্গে সিঁদুর পরে বসে থাকবে। টুপির সঙ্গে তিলকধারী বসে থাকবে। কিন্তু তাও বোমা গুলি চলবে না।” অর্থাৎ ধর্মের হানাহানি ভুলে একজোট হয়ে বাংলার উন্নয়নের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.