সব্যসাচী ভট্টাচার্য: সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধরের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা কোচবিহারের জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবু প্রকাশ্য রাজপথেই ক্ষোভ উগরে দেন। কোচবিহার থানার আইসি সমীর পালকে কাঠের পুতুল বলেও কটাক্ষ করেন। ততক্ষণে ভিড় জমে গিয়েছে রাজ্য সড়কে। ভিড়ের চাপে দাঁড়িয়ে পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাকও। পুলিশকর্তার উপরে আঙুল তুলে কথা বলছেন মন্ত্রী।
[দিলীপ ঘোষের পালটা মারের তত্ত্বে রণক্ষেত্র পুরুলিয়া, তৃণমূলকর্মীদের ব্যাপক মারধর]
মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কোচবিহারে। এই অশান্তির মাঝে পড়ে তিন সাংবাদিককে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে সাংবাদিকদের উপরে আক্রমণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি পুলিশকর্তাদের কাছে হামলার বিবরণ জানতে চান। সাংবাদিকদের উপরে হামলা কী করে হল? পুলিশ কী করছিল? পুলিশ আধিকারিক জানান, ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন। এরপরই মন্ত্রী চটে যান। তিনি ম্যানেজ করলে এখানে এত ভিড় কেন? কে কোথায় কি করছে আর দলের উপরে চাপ এসে পড়ছে আর আপনি পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে আছেন? কোনও অ্যাকশন নিতে পারছেন না? মন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে অস্বস্তিতে পড়েন ওই আধিকারিক। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি সামলে নেন।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পুলিশ আধিকারিকের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন মন্ত্রী। তিনি বলছেন, ‘কী করছেন? এখানে দাঁড়িয়ে আছেন, হ্যারাস করছেন? এত ভিড় কেন? যারা এখানে নমিনেশন সাবমিট করতে যাচ্ছে তারা যাবে। আমি জেলা সভাপতি আমার এখানে কোনও ক্যাম্প নেই। যারা ক্যাম্প করছে তাদের ক্যাম্প তুলে দিন। বাজারের পার্টি অফিস ব্যবহার করে ক্যাম্প করুক। এই সমস্ত বিশৃঙ্খলায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। কে কোথায় কি করছে, আর আমার দলের ঘাড়ে চাপ এসে পড়ছে। আর আপনি পুতুলের মতো দাঁড়িয়ে আছেন। কী ইন্টারেস্ট আপনার? আপনি কেন অ্যাকশন নিচ্ছেন না? সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। আপনার এখানে কেন এরকম হচ্ছে? আমার দলের ঘাড়ে কেন এসব আসবে? মারামারি হয়েছে চারজন সাংবাদিক আহত হয়েছে। আরও দু’তিন জায়গায় মারামারি হয়েছে, লোককে ঢুকতে দিচ্ছে না। এরকম চলতে থাকলে এসডিও অফিসে সাবমিট হবে। ইলেকশন কেচিয়ে যাবে। আপনারও পটল তুলতে হবে। ওই বিডিও সাহেবেরও পটল তুলতে হবে। দেখবেন এটাই হচ্ছে। এটা হতে যাচ্ছে।’