সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফুটবল খেলতে গিয়ে মাঠেই মৃত্যু হল এক কিশোরের। বৃহস্পতিবার মর্মান্তিক এই দু্র্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার চুঁচুড়া শহরের ঝাঁপপুকুর এলাকায়। মৃতের নাম তন্ময় সাহা (১৬)। বাড়ি ব্যান্ডেলের কেওটায়। কিশোর এই ফুটবলারের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোকের ছায়া নেমেছে ওই এলাকায়।
[আরও পড়ুন: বকেয়ার দাবিতে এবার অনশনে বসতে চলেছেন পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মীরা]
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র তন্ময় ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলতে ভালবাসত। তাই পরিবারের লোকেরা বাচ্চা বয়সেই তাকে ফুটবল খেলতে পাঠায়। বর্তমানে স্থানীয় ঝাঁপপুকুর উন্নয়ন সমিতি ক্লাবে খেলত সে। বৃহস্পতিবার দেশের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল ওই ক্লাবের তরফে। সেই প্রতিযোগিতা চলাকালীন বুকে বল লেগে মৃত্যু হয় তন্ময়ের।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বেশ ভালই খেলছিল তন্ময়। কিন্তু, আচমকা আসা একটি বল বুক দিয়ে রিসিভ করতে গিয়ে জোর আঘাত লাগে। এর ফলে সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে লুটিয়ে পড়ে সে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে খেলা থামিয়ে তাকে স্থানীয় ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: বিজেপির দাপটে হাতছাড়া পুরুলিয়া, হারানো জমি ফিরে পেতে ‘গণপ্রচার’ই হাতিয়ার তৃণমূলের]
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবছর খেলতে গিয়ে অনেক খেলোয়াড়েরই চোট লাগে। কিন্তু, সেইভাবে চিকিৎসা পরিবেষা দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা রাখা হয় না। এবার ওই ছেলেটির আঘাত লাগার পরও প্রাথমিক চিকিৎসা সেভাবে দেওয়া যায়নি। ফলে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তারা যদি আরও একটু সচেতন হতেন তাহলে এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনা আটকানো যেত।
যদিও ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তাদের দাবি, প্রতিবছরই এই প্রতিযোগিতা হয়। এর জন্য সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু, বৃহস্পতিবার আচমকা এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তন্ময় এই ক্লাবের হয়ে খেলত। তাই ক্লাবের সদস্যরা সবাই ভেঙে পড়েছেন। কোথা থেকে কী হল কেউই বুঝে উঠতে পারছেন না।