Advertisement
Advertisement

Breaking News

আবাসিক ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহের অভিযোগ, গ্রেপ্তার মালিক ও শিক্ষিকা

নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মুখ খোলে ছাত্রীরা।

Missionary Home owner, staffer held for molesting inmates in Kankinara
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 12, 2018 4:59 pm
  • Updated:May 12, 2018 4:59 pm

আকাশনীল ভট্টাচার্য, বারাকপুরঃ আবাসিক ছাত্রীদের উপর যৌন নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেপ্তার হোমের কর্ণধার-সহ এক মহিলা সহকারী। দুই অভিযুক্তের নাম জে কে বার্ক ও দীপু সরকার। কাকিনাড়ার পানপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে নৈহাটি থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিতে পারে পুলিশ।

[কর্মী আবাসনে নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, জলপাইগুড়িতে চাঞ্চল্য]

Advertisement

অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় খ্রিস্টান মিশনারি আবাসিক হোমটি চালাচ্ছিল জে কে বার্ক ও তার সহকারী দীপু সরকার নামে ওই মহিলা। হোমে বর্তমানে ৮৫ জন আবাসিক থাকে। যাদের মধ্যে ৪ থেকে ১৬ বছর বয়সের ৩৬ জন মেয়ে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই সব মেয়েদের উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিল হোমের মালিক তথা প্রধান শিক্ষক জে কে বার্ক। তাকে এই কাজে সহযোগিতা করত সহকারী শিক্ষিকা দীপু সরকার। কেমন ভাবে চলত এই অত্যাচার? পুলিশকে দেওয়া বয়ানে আবাসিক ছাত্রীরা জানিয়েছে, প্রতিদিন তিন-চারজন ছাত্রীকে পাঠানো হত প্রধান শিক্ষকের ঘরে। সেখানে ছাত্রীদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হত। মেয়েদের ঘরে পাঠানোর কাজ করত সহ-শিক্ষিকা দীপু সরকার। মাঝে মাঝে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যেত আবাসিক ছাত্রীদের। লজ্জা ও ঘৃণায় তারা প্রতিবাদ করত। তবে ওইটুকুই সার! প্রতিবাদ করলেই ছাত্রীদের কপালে জুটত মার, বেড়ে যেত অত্যাচারের মাত্রা। পুলিশ জানিয়েছে, মুখ খুললে আবাসিক হোম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে, এই ভয় দেখিয়ে এতদিন ছাত্রীদের মুখ বন্ধ করে রেখেছিল ধৃত প্রধান শিক্ষক জে কে বার্ক ও সহকারী শিক্ষিকা দীপু সরকার।

Advertisement

[দিদির টানেই জীর্ণ স্কুলের ভোলবদল ভাইয়ের, নাচে-গানে ধন্যবাদ পড়ুয়াদের]

মাত্রাতিরিক্ত নির্যাতনের মুখে বাধ্য হয়েই ছাত্রীরা সমস্ত ঘটনার বিবরণ দিয়েছিল যে স্কুলে তারা পড়তে যেত সেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে। ওই স্কুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছাত্রীদের মুখ থেকে দীর্ঘদিনের বর্বরতার বর্ণনা শোনার পরে কালবিলম্ব করেননি তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে ওই হোমের মালিক ও তার সহকারীর নামে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করা হয় নৈহাটি থানায়। এরপরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে। তাদের কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শুনে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জে কে বার্ক ও দীপু সরকারকে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে নৈহাটি থানার পুলিশ। তবে এতকিছুর পর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে হোমের ৮৫ জন আবাসিকের।

[মশার জ্বালায় অতিষ্ঠ বর্ধমানবাসী, নিস্তার পেতে নর্দমায় ছাড়া হল গাপ্পি মাছ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ