সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্য সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আগামী ২৫ মে আচার্য হিসাবে বিশ্বভারতীতে দ্বিতীয় বারের জন্য পা রাখবেন তিনি৷ ওই দিনই বিশ্বভারতীর মঞ্চে মোদির সঙ্গে একই ফ্রেমে দেখে যেতে পারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে৷
বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির৷ জানা গিয়েছে, শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর ওই নবনির্মিত ভবনটির উদ্বোধনে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে৷ আমন্ত্রণপত্র যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও৷ তবে, বিশ্বভারতীর আমন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী সম্মতি জানাবেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
[তৃণমূল হামলা করলে বঁটি ব্যবহার করুন, ভাতারের জনসভায় মন্তব্য বিজেপি নেতার]
ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সবুজকলি সেনকে হাসিনার সফরের দিনটি জানানো হয়েছে৷ বাংলাদেশ হাই কমিশনের পক্ষে উপাচার্যকে জানানো হয়েছে, হাসিনা ২৪ তারিখে এসে বর্ধমানের চুরুলিয়ায় কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সাম্মানিক ডিগ্রি নেবেন৷ পরদিন শান্তিনিকেতনে যাবেন৷ ২৫ কোটি টাকা খরচ করে নবনির্মিত ভবনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন হাসিনা৷
এদিনের এই অনুষ্ঠানে নতুন ভবনের সূচনা করার কথা থাকলেও মোদি-হাসিনার বৈঠকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব পেতে চেলেছে তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি৷ কারণ, সামনে বাংলাদেশ নির্বাচন৷ বাংলাদেশের নির্বাচনে হাসিনার প্রথম এবং প্রধান অস্ত্র তিস্তার জল৷ তিস্তার জল পেলেই বাংলাদেশের নির্বাচন জেতা সহজ হয়ে যাবে৷ তবে, মোদির সঙ্গে বৈঠকে করে তিস্তার সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করলেও হাসিনার মুখে হাসি ফোটাতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কারণ, রাজ্যের মঙ্গলের কথা ভেবে তিস্তা ইস্যুতে রাজ্যের আপত্তির কথা আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলে, এবারের মোদি-মমতা-হাসিনার বিশ্বভারতীর সফরকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা৷