সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া’র (PFI) সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে নাম রয়েছে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহেরের। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। সাংসদের দাবি, অনুমতি না নিয়েই ওই প্রচারপত্রে তাঁর নাম রাখা হয়েছে। যদিও সে কথা মানতে নারাজ PFI নেতৃত্ব। তাঁদের পালটা দাবি, সাংসদের সঙ্গে দেখা করে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বিষয়টি সামনে আসতেই তৃণমূলের বিরুদ্ধ কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন টুইট করেন, ‘PFI মুর্শিদাবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে। সেখানে তৃণমূল সাংসদকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।’
#PFI ने मुर्शिदाबाद मे विरोधप्रदर्शन करने की तैयारी की है और उसमे #TMC के सांसद को भी बुलाया गया है!
यूपी पुलिस की जांच मे पाया गया है की PFI ने पूरे राज्य मे हिंसा का षड्यंत्र रचा था लेकिन पुलिस की मुस्तैदी और UP सरकार के सहयोग के बाद षड्यंत्र को निष्क्रिय किया गया।(1/n) pic.twitter.com/uU3Ys7fBRF
— Arvind Menon (@MenonArvindBJP) January 2, 2020
তাহের একা নন, PFI-এর আরেক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখও। প্রসঙ্গত, হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে PFI-কে নিষিদ্ধ করার দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চি্ঠি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। তাঁদের অভিযোগ ছিল, দেশের নিষিদ্ধ সংগঠন সিমির প্রাক্তন সদস্যরাই PFI-তে যোগ দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে PFI-এর সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বে যোগাযোগ সামনে আসায় অস্বস্তিতে দল। এদিকে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে আবু তাহের দাবি করেন, তাঁর অনুমতি না নিয়েই পিএফআই ওই প্রচারপত্র ছাপিয়েছিল। তিনি বলেন, “ওই সংগঠনটি আমার অনুমতি না নিয়ে তাদের আমন্ত্রণপত্র-ব্যানার-পোস্টারে আমার নাম ব্যবহার করেছে। বিভিন্ন জায়গায় তা দেখে হকচকচিয়ে গিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রী কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত?’, শিলিগুড়িতে মোদিকে নজিরবিহীন কটাক্ষ মমতার]
একইসঙ্গে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “এ ভাবে আমার নাম ব্যবহার করায় আইনি পদক্ষেপ করব। ওঁদের কর্মসূচিতে আমাদের দলের কেউ যাবেন না।” হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ অবশ্য বলেন, ‘‘নাম ছাপানোর অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু দল যেতে নিষেধ করছে। তাই যাব না।” যদিও পিএফআই-এর রাজ্য সভাপতি দৌলতাবাদের বাসিন্দা হাসিবুল ইসলাম বলেন, “আমি নিজে আবু তাহেরের সঙ্গে দলের জেলা অফিসে দেখা করে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।’’
[আরও পড়ুন: মণ্ডল সভাপতি বদল ঘিরে চূড়ান্ত উত্তেজনা, দিলীপ ঘোষের সামনেই অন্তর্দ্বন্দ্ব বিজেপি কর্মীদের]
পরে জেলা পুলিশের তরফ থেকেও সম্মেলনের অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়। মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি মুকেশ কুমার বলেন, “সব দিক খতিয়ে দেখে মনে হয়েছে সম্মেলন করতে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তাই সম্মেলনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।’’