Advertisement
Advertisement
মহুয়া মৈত্র

পঞ্চায়েতের ব্যর্থতা তুলে ধরে দলের মধ্যেই চক্ষুশূল মহুয়া, অসন্তুষ্ট নেতা-কর্মীরা

দলকেই হেয় করছেন, কটাক্ষ বিরোধী গোষ্ঠীদের।

MP Mahua Maitra facing back lash in her own party
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:June 10, 2020 1:26 pm
  • Updated:June 10, 2020 1:26 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নদিয়ায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতর কাজের ব্যর্থতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খড়গহস্ত হয়েছিলেন তিনি। এবার দলের মধ্যেই সমালোচনার মুখে সাংসদ মহুয়া মৈত্র। দলেরই ব্যর্থতার কথা তুলে ধরে বিতর্কেক শিরোনামে ফের একবার কৃষ্ণনগরের সাংসদ। তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন মহুয়ার বক্তব্যে অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সাংসদের নিশানায় যে দলীয় নেতা গৌরীশংকর দত্ত এবং বিধায়ক তাপস সাহা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু নদিয়া জেলার পর্যবেক্ষক মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিষয়টি ভাল চোখে দেখছেন না।

কাজ হয়নি বলে ভিডিও বার্তায় নদিয়ার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম উল্লেখ করেছিলেন মহুয়া। যার মধ্যে সাহেবনগর পলাশিপাড়া এবং কানাইনগর ও বেতাই-২ তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। আর ওই তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতই তৃণমূল পরিচালিত। যা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের একাংশের দাবি, সাংসদের এলাকায় অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতই বিজেপি ও সিপিএমের দখলে। কিন্তু মহুয়া মৈত্র সেই সব পঞ্চায়েতের নাম না করে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের নাম করে দলকেই হেয় করতে চেয়েছেন। তেহট্টের দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা পড়ে থাকলেও কাজ হয়নি বলে মহুয়া অভিযোগ তুলেছেন, সেগুলি গৌরীশংকর দত্তের বিধানসভা এলাকায় পড়ে। যিনি সেই লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে মহুয়ার বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত। আর একটি পঞ্চায়েত বিধায়ক তাপস সাহার এলাকায় পড়ে। তাপস সাহার পালটা, ‘সাংসদ ব্যর্থ বললেই তো হবে না। সেটা মানুষ বলবে।’ যদিও গৌরীবাবু এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যে পঞ্চায়েতস্তরে ব্যাপক দুর্নীতি! মহুয়া মৈত্রের পোস্ট ঘিরে অস্বস্তিতে তৃণমূলই]

সূত্রের খবর দলের জেলা পর্যবক্ষক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাংসদের এহেন আচরণে অসন্তুষ্ট। এমনিতেই বিরোধীরা কোমর বেঁধেছে নেমেছে একুশের আগে শাসকদলের ফাঁকফোকর খুঁজতে। তার মধ্যে দলের সাংসদই যদি তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে থাকেন তাহলে তো বিরোধীদের পোয়াবোরা। রাজীববাবু বলেছেন, ‘উনি এলাকার সাংসদ। কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ থাকতেই পারে। তিনি নিজে সেই পঞ্চায়েতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারতেন। তিনি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করতে পারতেন।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিনের শুরুতেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বাসন্তী, যুব তৃণমূলের গুলিতে নিহত দলীয় কর্মী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ