Advertisement
Advertisement

Breaking News

মহুয়া

রাজ্যে পঞ্চায়েতস্তরে ব্যাপক দুর্নীতি! মহুয়া মৈত্রের পোস্ট ঘিরে অস্বস্তিতে তৃণমূলই

টেন্ডার ডাকার ভয়ে ছোট ছোট প্রকল্পে কাজ করে পঞ্চায়েতগুলি, বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ।

TMC MP Mahua Moitra blasts corruption in grassroot level
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 9, 2020 1:55 pm
  • Updated:June 9, 2020 2:44 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন বিরোধীরা অভিযোগ করতেন তৃণমূলের আমলে পঞ্চায়েত স্তরে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে। পঞ্চায়েত প্রধান এবং সদস্যরা স্বজনপোষণ করছেন। এবার সেই অভিযোগে একপ্রকার ‘সিলমোহর’ দিয়ে দিলেন দলেরই দাপুটে সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। নিজের এলাকার সাধারণ মানুষকে পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে সতর্ক করতে গিয়ে আসলে রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থার ‘প্রকৃত’ ছবিটাই তুলে ধরলেন মহুয়া। অন্তত বিরোধীরা তেমনটাই দাবি করছেন। দিন দুই আগের মহুয়ার একটি ফেসবুক পোস্ট এখন রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলছে তৃণমূলকে।

Advertisement

কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলছেন, তাঁর এলাকার পঞ্চায়েতগুলি উপযুক্ত পদ্ধতি মেনে কাজ করছে না। পঞ্চায়েতের কাজের মধ্যে স্বচ্ছতারও অভাব আছে। চতুর্দশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অনুযায়ী, একটি গ্রাম পঞ্চায়েত বছরে গড়ে কম করে ১.২০ কোটি টাকা পায়। আয়তন বড় হলে এবং ভাল পারফর্ম করলে সেই অর্থটা ২ কোটি পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু তাঁর এলাকার বহু পঞ্চায়েত এই টাকা খরচই করতে পারেনি। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে এই বরাদ্দের মধ্যে অন্তত ৬০% টাকা খরচ করার নিয়ম। বহু পঞ্চায়েত সেটাও করে উঠতে পারেনি। মহুয়ার কথায়, “একজন সাংসদ বছরে পায় মাত্র ৫ কোটি টাকা। আর একটা পঞ্চায়েত পায় ২ কোটি টাকা পর্যন্ত। সেই টাকা ঠিকমতো খরচ হলে একটাও কাঁচা রাস্তা থাকার কথা নয়।”

Advertisement

মহুয়ার দাবি, ২০১৪ সালে রাজ্য সরকার ৫ লক্ষের বেশি মূল্যের কাজের জন্য ই-টেন্ডার চালুর কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অধীন ৮২টি পঞ্চায়েতের কোথাও সেই পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। তিনি বলছেন, কোনও পঞ্চায়েত সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বেশি কাজ করতে চায় না। কারণ, সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি কাজ করলে ISGP ও ব্লক সেই কাজ রিভিউ করে। সেজন্য পঞ্চায়েত প্রধান বা সদস্যরা সবসময় ছোট ছোট প্রকল্পে কাজ করে।” কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলছেন,”৫০ লক্ষ টাকার কোনও প্রকল্প হলে, পঞ্চায়েত প্রধানরা সেটাকে ২০-২৫ টা ছোট ছোট প্রকল্পে ভাগ করে করেন। আসলে তাঁরা চাইছেন আরও বেশি মানুষকে কাজ দিতে। কেউ দু’লক্ষের কাজ পাবেন, কেউ তিন লক্ষের কাজ পাবেন। পঞ্চায়েতের কাজ মানে শঙ্কর সিংয়ের বাড়ি পর্যন্ত ৬০ মিটার রাস্তা কিংবা শঙ্কর সিংয়ের বাড়ি থেকে রুকবানুর রহমানের বাড়ি পর্যন্ত ৬০ মিটার রাস্তা করা নয়। বড় রাস্তা করতে হবে।”

[আরও পড়ুন: ‘ভোটবাক্সে বাংলার মানুষ আপনাকে রাজনৈতিক শরণার্থী বানাবে’, মমতাকে তোপ শাহের]

কৃষ্ণনগরের সাংসদ বলছেন, “স্বচ্ছতার স্বার্থে প্রতি পঞ্চায়েতে ই-টেন্ডার, ৩.৫ লক্ষ টাকার বেশি কাজ করা ও বড় সম্পদ তৈরি যেমন বড় রাস্তা, নিকাশি নালা, বর্জ্য অপসারণ কেন্দ্র, পানীয় জল এই সব দিকে নজর দিতে হবে। গলির ছোট রাস্তা, ছোট নালা একশো দিনের কাজেই করা যায়, এতে মানুষ কাজও পাবেন।” বিরোধীরা বলছে, মহুয়ার এই বক্তব্যে স্পষ্ট তৃণমূলের আমলে রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দুর্নীতিতে ভরে গেছে। আর প্রধান-সদস্যরা দুর্নীতি এবং স্বজন পোষণের লক্ষেই ছোট ছোট প্রকল্পে কাজ করছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ