Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রধান শিক্ষক দুজন! প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিকেয় পঠনপাঠন

দুজন প্রধানশিক্ষক এলেন কীভাবে, উঠছে প্রশ্ন৷

Murshidabad: Two head teacher in one school!
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:October 1, 2018 10:41 am
  • Updated:October 1, 2018 11:56 am

সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: একই বিদ্যালয়ে রয়েছেন দু’জন প্রধান শিক্ষক! আর দুই প্রধান শিক্ষকের কোন্দলে শিকেয় উঠেছে পঠনপাঠন। এমনই অভিযোগ উঠেছে ভগবানগোলা চক্রের কানাপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে৷ এই বিষয়ে ওই চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সাহেব কাজি বলেন, “আমি এই ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এর বেশি আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।” এই বিষয়ে দুই প্রধান শিক্ষকই অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরাই দু’জনের কাছেই প্রধান শিক্ষক পদের প্রমাণপত্র রয়েছে৷  

[ভোল পালটে আরও দীর্ঘস্থায়ী বর্ষা, এবছরও পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা!]

এখনও সব স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক দেওয়া যায়নি। সরকার শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে এবং বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষকের ঘাটতি মেটাতে বিভিন্নভাবে সচেষ্ট হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ভগবানগোলা চক্রের কানাপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিস্ময়করভাবে দু’জন প্রধান শিক্ষক৷ তাঁদের একজন প্রদীপ পোদ্দার৷ অন্যজন মিলনকান্তি ঘোষ৷ অভিযোগ, এই দুই শিক্ষকের পদ নিয়ে টানাটানির জেরে বিদ্যালয়ে কচিকাঁচাদের পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে৷ পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে সহ শিক্ষকরাও পড়েছেন মহা ফাঁপরে। কার কথা মান্য করবেন, আর কার কথামতো বিদ্যালয় পরিচালন হবে, এই দ্বন্দ্বে পড়েছেন বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা৷ ফলে ওই বিদ্যালয়ে নিয়মশৃঙ্খলাও এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে৷ কিন্তু, এক বিদ্যালয়ে দু’জন শিক্ষক এলেন কী ভাবে?

Advertisement

[নবান্নে বৈঠকের আগেই রাজনাথের কাছে মমতার নামে নালিশ বিজেপি নেতাদের]

Advertisement

এই বিষয়ে এক শিক্ষক জানান, আদতে প্রদীপ পোদ্দার একই চক্রের হনুমন্ত নগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। এক সময় তাঁর সমস্যার কথা ভেবে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ প্রদীপবাবুকে ‘ড্রাফটিং’ হিসেবে কানাপুকুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিযুক্ত করে। পরবর্তীতে সংসদ চলতি বছরের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে চাকরিকালের মেয়াদের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকের ‘কাউন্সেলিং’ করে শূন্য বিদ্যালয়ের তালিকা থেকে কানপুকুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে মিলনকান্তি ঘোষকে নিয়োগ করে। তার পরেই শুরু হয় সমস্যা। বর্তমানে দুই শিক্ষক দাবি করছেন, তাঁরা দু’জনেই প্রধান শিক্ষক। এই পরিস্থিতিতে জটিল হয়েছে বিদ্যালয়ের পরিবেশ। এই ব্যাপারে স্থানীয় অভিভাবক মনসুর আলি, খোদাবক্স সরকাররা বলেন, “সংসদের গাফিলতির জন্য অস্বাভাবিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে বিদ্যালয়ে। এর ফলে পড়াশোনা যেমন শিকেয় উঠেছে তেমনি বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অচল অবস্থা দেখা দিয়েছে।”

[শহরে ফের অঙ্গ প্রতিস্থাপন, গৃহবধূর লিভার বসল শিক্ষকের শরীরে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ