চন্দ্রজিৎ মাজুমদার, কান্দি: কথায় আছে, রাখে হরি মারে কে। এই প্রবাদ আরও একবার প্রমাণ হল মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে।
[লরির সঙ্গে ধাক্কা, অ্যাম্বুল্যান্সে পুড়ে মৃত্যু নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীর]
৬৭ দিন আগে কান্দির ভরতপুর গ্রামের মসজিদের পাশের নালা থেকে এক সদ্যোজাতকে উদ্ধার করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে স্থানীয় বিডিও অঞ্জন চৌধুরীর চেষ্টায় ওই নবজাতককে পাঠানো হয় কান্দি মহকুমা হাসপাতালে। নাম দেওয়া হয় সূর্য। শুক্রবার কান্দি মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দু’মাসের শিশুপুত্রকে আইন মেনে বেলডাঙা চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের হাতে তুলে দেয়। ওই একরত্তি শিশুকে কিছুতেই যেন ছাড়তে পারছিলেন না কান্দি মহকুমা হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স এবং সাধারণ কর্মীরা। অল্প দিনেই তাঁদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিল সূর্য। তার মুখ দেখে অদ্ভুত মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যান কর্মীরা। তাঁরা এক মুহূর্তের জন্য শিশুটিকে কাছছাড়া করতে চাননি। এদিন ছোট্ট সূর্যকে বেলডাঙা চাইল্ড ওয়েলফেয়ারের হাতে তুলে দেওয়ার সময় অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কেউ আড়ালে চোখের জল মোছেন। মনে মনে বলতে থাকেন আর কটা দিন থাকলে ভাল হত। কোথা থেকে এসে যেন সবাইকে আনন্দে মাতিয়ে দিয়েছিল সূর্য।
[এবার পাঠ্যক্রমে পকসো, মানব-পুতুলে ‘ভাল-খারাপের স্পর্শ’ শিখবে খুদেরা]
মূলত কান্দি মহকুমা হাসপাতালের ডাক্তার সৌমিক দাসের যত্নে, সাহচর্যে বেড়ে উঠছিল সূর্য। সবাই চাইছেন সূর্য আগামী দিনে যেন ভাল থাকে, সুস্থ থাকে। যার হাত ধরে সূর্য মাথা গোঁজার জায়গা পেল সেই ভরতপুরের বিডিও অঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন, “আমার আশা সূর্য একদিন মানুষের মতো মানুষ হবে। যে শিশু পৃথিবীতে এসেছিল কার্যত অনাহূত হয়ে এখন তার জন্য রয়েছে বাকি দুনিয়া। যারা মুখ ঘুরিয়ে নেয়নি।