ধীমান রায়, কাটোয়া: বছরখানেক আগে হাসপাতাল চত্বরে সৌন্দর্যায়নের জন্য বেশ কিছু গাছ লাগানো হয়েছিল। সেসব ছিল ফুলগাছ, পাতাবাহার ও ঝাউগাছ। কিন্তু সেইসব গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কাটোয়া হাসপাতাল চত্বরের পড়ে থাকা সেই জায়গাতেই হচ্ছে সরষে চাষ৷ হলুদ ফুলে রীতিমতো ভরে উঠেছে সরষে খেত। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ হাসপাতাল চত্বরে সরষে চাষের পরিকল্পনা হঠাৎ স্বাস্থ্য দপ্তরের মাথায় কেন এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। যদিও কাটোয়া হাসপাতাল সুপার রতন শাসমল বলেন, ‘‘এটা পরিকল্পনা করে হয়নি। জায়গাটি পড়ে ছিল। দু, তিনজন সরষে ছিটিয়ে দিয়েছিল বলে শুনেছি। তারপর গাছগুলি বড় হয়ে ফুল ধরেছে।”
পথ দুর্ঘটনা ঘিরে রণক্ষেত্র পলাশিপাড়া, পুড়ল পুলিশের গাড়ি
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের চত্বরের এলাকাটি বেশ বড়সড়। হাসপাতালের মূল ভবনের সামনে রয়েছে সাইকেল স্ট্যান্ড। তার পিছনেই রয়েছে প্রায় কাঠা পাঁচেক ফাঁকা জমি। ওই জমির পিছনে রয়েছে হাসপাতালের আবাসনগুলি। পুরো চত্বরটি সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইকেল স্ট্যান্ড ও আবাসনের মাঝামাঝি কাঠা পাঁচেক জমিতে চলতি বছর সরষে চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে গাছে বীজ ধরতে শুরু করেছে। দেখে বোঝা যাবে সরষে খেতে নিয়মিত পরিচর্যাও করা হচ্ছে। হাসপাতালে আসা রোগীর পরিজন থেকে স্থানীয় মানুষ – অনেকেরই নজরে পড়ছে সরষে খেত। অনেকে ফলন দেখে তারিফও করছেন। অনেকে আবার সমালোচনাও করেছেন৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরখানেক আগে এই জায়গায় বড় বড় পরিণত গাছ নিয়ে এসে পোঁতা হয়েছিল। যত্নের অভাবে এক এক করে সেইসব গাছ শুকিয়ে গিয়েছে। তারপর আর সৌন্দর্যায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
মর্মান্তিক! সন্তানকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু গৃহবধূর
কিন্তু কে বা কারা এই সরষে জমির পরিচর্যা করছেন? হাসপাতাল কর্মীদের একাংশ জানিয়েছেন, হাসপাতালের এক ঠিকাদার ও একজন আ্যম্বুল্যান্স চালক, দু’জন মিলে সরষে খেতের পরিচর্যা করছেন। ফসল ওঠার পর সরষের দাবিদার কে হবেন? এমন প্রশ্নও তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। তবে এ নিয়ে সুপার রতন শাসমল বলেন, ‘‘আগে সরষে জমি থেকে তোলা হোক৷ তারপর দেখা যাবে কে এই সরষের দাবিদার হবেন।” কিন্তু হাসপাতালের মতো জায়গার পরিবেশ বজায় রাখতে গাছের বদলে কেন সরষে চাষকে উৎসাহিত করা হচ্ছে, সে প্রশ্নের উত্তর অমিল।
ছবি: জয়ন্ত দাস