ছবি: প্রতীকী
শ্রীকান্ত দত্ত, ঘাটাল: গুজরাটের আহমেদবাদে স্বর্ণ কারিগরের কাজ করতে গিয়ে দাসপুরের চাঁইপাট গ্রামের যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু৷ শনিবার কফিনবন্দি দেহ গ্রামে ফেরার পরই উত্তাল হয়ে ওঠে দাসপুর৷ সুলতাননগর-গোপীগঞ্জ রাজ্য সড়কের চাঁইপাটে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ৷ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করেন স্থানীয়রা৷ বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও৷
দাসপুরের চাঁইপাট গ্রামের ভাস্কর রানা বছর খানেক আগে সোনার কাজে আহমেদাবাদে গিয়েছিল৷ তাকে নিয়ে গিয়েছিল গ্রামেরই সোনার ব্যবসায়ী প্রদীপ দাস৷ গত বুধবার আহমেদাবাদে ভাস্করের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ পুলিশ ভাস্করের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে প্রদীপবাবুর হাতে তুলে দেয়৷ শনিবার ভাস্করের কফিনবন্দি মৃতদেহ চাঁইপাট গ্রামে এলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা৷ তাঁদের অভিযোগ, ভাস্করকে খুন করে প্রদীপ দাস মৃতদেহ ঝুলিয়ে দিয়েছে৷ ছেলে আত্মহত্যা করেছে একথা মানতে নারাজ ভাস্করের বাবা উত্তম রানাও৷ যদিও অভিযুক্ত প্রদীপ দাস গুজরাট পুলিশকে জানিয়েছে, ওই যুবক আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু গ্রামবাসীরা তা মানতে নারাজ।
অভিযুক্ত প্রদীপ দাসের গ্রেপ্তারির দাবিতে চাঁইপাটে রাজ্য সড়কের উপর কফিনবন্দি মৃতদেহ রেখে অবরোধ শুরু করেন গ্রামবাসীরা৷ বিক্ষোভ সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে উত্তেজিত জনতা ইট-পাটকেল ছোঁড়ে৷ ইটের ঘায়ে কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন৷ পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়৷ গাড়ির চাকা খুলে আগুন ধরাতে চেষ্টা করে ক্ষুব্ধ জনতা৷ শনিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত চলে অবরোধ৷
খবর পেয়ে অবরোধ তুলতে যায় দাসপুর থানার পুলিশ৷ পরে ঘাটালের এসডিপিও কল্যাণ সরকার, দাসপুর থানার ওসি সুব্রত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘ঘটনার জেরে মোট ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তদন্ত শুরু হয়েছে৷’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.