Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাস থেকে উদ্ধার চালকের দেহ, মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য

পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে চালককে।

Nadia: Driver found dead in Bus
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 27, 2018 9:17 pm
  • Updated:August 27, 2018 9:17 pm

বিপ্লব দত্ত, কৃষ্ণনগর: বাসের ভিতর থেকে চালকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে নদিয়ায়। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে  রানাঘাটের রাজবাগান পাড়ায়।

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই বাসচালকের নাম কানাই ঘোষ(৪২)। রাজবাগান পাড়াতেই বাড়ি কানাইয়ের। গত কুড়ি বছর ধরে রানাঘাট-বাগআঁচড়া রুটের বাস চালাতেন। সোমবার সকালে শান্তিপুর থানার বাগআঁচড়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের ভিতর কানাইবাবুর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান যাত্রীরা। শান্তিপুর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে৷ বাসও আটক করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করেছেন ওই বাসচালক।

Advertisement

[ঐতিহ্যবাহী আর কে স্টুডিও বিক্রি নিয়ে মুখ খুললেন করিনা]

Advertisement

তবে মৃতের পরিবারের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয় কানাই ঘোষকে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। মৃতের স্ত্রী সীমা ঘোষের মৌখিক অভিযোগ,‘‘দু’বছর আগে বাগআঁচড়ার গোয়াল পাড়ার বাসিন্দা মিঠুন নামে এক যুবকের সঙ্গে মহিলা ঘটিত একটা ব্যাপার নিয়ে আমার স্বামীর ঝামেলা হয়।  এরপর থেকেই মিঠুন নামে ওই যুবক আমার স্বামীকে প্রাণনাশের হুমকি দিত। আগেও আমার স্বামীকে খুন করতে চেয়েছিল মিঠুন। কর্তব্যরত অবস্থায় আমার স্বামীকে মারধর করে। গাড়ির কাঁচ ভেঙে দিয়েছিল। ওই রুটের অন্য একটি বাসের চালক আমার স্বামীকে রক্ষা করেন। ফলে ওই যাত্রায় কোনওক্রমে প্রাণে বেঁচে যান আমার স্বামী। আমার  স্বামী আত্মহত্যা করেননি। আর কেনই বা করবেন? রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ রানাঘাট থেকে  বাস চালিয়ে তিনি বাগআঁচড়াতে পৌঁছান সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ স্বামীর সঙ্গে ফোনে আমার মেয়ের কথাও হয়। ফোনে তিনি বলেন, তাঁর ভোটার আই ডি কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বার করে রাখতে। সোমবার সকালে বাড়িতে এসে ওইগুলো নেবেন। ওই কথা বলার পর উনি আত্মহত্যা করতে যাবেন কেন? ওনাকে খুন করা হয়েছে। আমার নিশ্চিত ধারণা মিঠুন নামের ওই যুবকই আমার স্বামীকে খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত।  আমার স্বামী যে বাসটি চালিয়ে বাগআঁচড়াতে গিয়েছিলেন, সেই বাসটির মধ্যেই ঝুলছিল দেহ। আমি যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছাই তখন পুলিশ মৃতদেহ নামিয়ে বাসটি শান্তিপুর থানার দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। পথে দাঁড় করিয়ে আমার স্বামীর মৃতদেহটি দেখি। মৃতদেহ দেখে আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলে আমাদের ধারণা হয়েছে।

পুলিশ সরেজমিনে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক বলেও দাবি করেন সীমাদেবী। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেওয়া হবে।

[পত্রিকার প্রচ্ছদে প্রকাশ্যে স্তন্যদান, শ্রীলেখার নয়া ছবিতে শোরগোল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ