Advertisement
Advertisement

Breaking News

পুলিশের তাড়া থেকে বাঁচতে ভাগীরথীতে ঝাঁপ, খোঁজ নেই ২ শ্রমিকের

বেআইনি মাটি কাটার অভিযোগে পুলিশি অভিযান।

Nadia: To escape cops illegal miners jump in river, drowned
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 6, 2018 3:20 pm
  • Updated:February 6, 2018 3:20 pm

বিপ্লব দত্ত, নদিয়া: নদীর পাড়ে লুকিয়ে  মাটি কাটা চলছিল। এই অভিযোগে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ভাগীরথীতে ঝাঁপ দেন দুই যুবক। তিন দিন হয়ে গেলেও তাদের খোঁজ মেলেনি। নদিয়ার শান্তিপুরের এই ঘটনায় চিন্তায় দুই পরিবার।

[মুর্শিদাবাদে ফাঁস ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের ছক, উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক]

Advertisement

NADIA RAID MISSING 3

Advertisement

এলাকার বাসিন্দাদের অনুমান, পুলিশের তাড়ায় ধরা পরার ভয়ে গঙ্গার জলে ঝাঁপ দিয়ে আর পাড়ে উঠতে পারেনি দুই যুবক। তাদের হদিশ পেতে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজ চালানো হলেও মঙ্গলবার বেলা পর্যন্ত খোঁজ মেলেনি। শান্তিপুর থানার টেঙ্গরিডাঙ্গাচরের এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নিখোঁজের পরিজনরা। নিখোঁজ দুই যুবকের নাম আশাদুল মোল্লা (২৭) ও মিঠুন শেখ(২০)। তাদের বাড়ি টেঙ্গরিডাঙ্গা গ্রামে। তারা সম্পর্কে কাকা ও ভাইপো। দু’জনই পেশায় দিনমজুর। যখন যেমন কাজ জোটে,তেমন কাজ করে তারা। ইদানীং আশাদুল ও মিঠুন মাটি কাটার কাজ করছিল। শান্তিপুর থানা এলাকায় মাটি মাফিয়ারা বহুদিন ধরেই ভাগীরথীর পাড়ের মাটি গোপনে কেটে নিয়ে চলেছে বলে অভিযোগ। নদীপাড়ের বাসিন্দার অভিযোগ প্রশাসনের একাংশের সঙ্গে সমঝোতা করে ট্রলারে বোঝাই করে মাটি তুলে পাঠানো হয় বিভিন্ন ইটভাটায়।

[পাশাপাশি জিএনএলএফ-মোর্চা, পাহাড়ের রাজনীতিতে নজিরবিহীন বার্তা মমতার]

NADIA RAID MISSING 2

এই নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে বারবার অভিযান চালিয়েও মাটি কাটা পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। কয়েকদিন আগেও তিন মাটি মাফিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।  তাতেও কাজ হয়নি। দিন কয়েক আগে শান্তিপুরের মেথিডাঙ্গায় স্থানীয় লোকজন সরব হয়ে একটি ট্রলারে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপরও মাটি পাচার চলতে থাকে।  শান্তিপুর থানর পুলিশের কাছে খবর আসে মাটি মাফিয়ারা ট্রলার মালিকদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাটি পাচার করছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শান্তিপুর থানার পুলিশ টেঙ্গরিডাঙ্গাচরে হানা দেয়। পুলিশ দেখে ভয়ে মাটি কাটার কাজে ব্যস্ত কয়েকজন দিনমজুর গঙ্গার জলে ঝাঁপ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন বেশিরভাগ দিনমজুর সাঁতরে পাড়ে উঠে গেলেও সম্পর্কে ওই কাকা-ভাইপোর কোন খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজদের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, পুলিশের তাড়ায় ওরা দুজন জলে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতার না জানায় পাড়ে উঠতে পারেনি। ওদের নিখোঁজের জন্য পুলিশই দায়ী। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত দুজনের বাড়ির লোকজন পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ জানিয়েছে গঙ্গার জলে দুজনের ডুবে যাওয়ার অনুমান করে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজ চালানো হচ্ছে। টক্কেল মণ্ডল নামে নিখোঁজদের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ‘মাটি কেটে তা বিক্রি করার কাজে যুক্ত নয় কাকা-ভাইপো। ওরা সামান্য দিনমজুর। দৈনিক মজুরির বিনিময়ে ট্রলার মালিকের কাছে কাজ নিয়ে মাটি কাটছিল। পুলিশ ওদের তাড়া করলে ভয়ে ওরা গঙ্গায় ঝাঁপ দেয়।’ যদিও পুলিশের ভয়ে ওরা দুজন পাড়ে উঠে কোথাও গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে কিনা, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।

ছবি: সুজিত মণ্ডল

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ