সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: দু’পাড়ে দুই নদী। সুবর্ণরেখা ও ডুলুং। আর মাঝখানে একফালি সবুজ। সেখানেই পর্যটনের নয়া ঠিকানা। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কোদোপাল ইকো নেস্ট। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি কেদোপাল ইকো নেস্টের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। বসন্তের দুপুরে দুই নদীর ছলাৎ ছলাৎ শব্দে মাতোয়ারা হতে হলে সুবর্ণরেখা ও ডুলুংয়ের মাঝে এই অসাধারণ মনোরম পরিবেশে আপনাকে আসতেই হবে। যেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার থেকে শুরু করে সুদৃশ্য ফলের বাগান।
[পরীক্ষার নম্বর ছেড়ে জীবনখাতায় লেটার পাওয়ার পাঠ, পথ দেখাচ্ছেন ভাতারের ‘রায়বাবু’]
ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের কোদোপাল ইকো নেস্ট জেলার পর্যটন মানচিত্রে এখন অন্যতম আকর্ষণ। রোহিণী অঞ্চলের এই কোদোপালে গত কয়েকবছর ধরেই ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে একশো একর জমিতে দশ হাজার প্রজাতির ফলের গাছ লাগানো হয়েছে। যার ফসল, সবুজে ঘেরা অনবদ্য বাগান। এই বাগান ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পর্যটকদের আনাগোনা। পর্যটকদের থাকার সুব্যবস্থা করার জন্যও প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে। বিশাল এই বাগান ঘিরে সৌর বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকছে। রয়েছে পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও। সর্বোপরি সাঁকরাইল ব্লক প্রশাসন সেখানে আটটি কটেজ গড়ছে। প্রতি কটেজে দু’জন করে থাকতে পারবেন। পর্যটকরা যদি বাতানুকূল ব্যবস্থা চান, তা হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেনারেটরের মাধ্যমে সেই পরিষেবা দেওয়া হবে। এমনিতেই সন্ধের পর থেকে এই এলাকায় সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আলো জ্বলে। পর্যটকরা যাতে অনেক উপর থেকে নদী, জঙ্গলের মোহময়ী সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন তার জন্যই থাকছে দু’টি ওয়াচ টাওয়ার। ব্লক প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহল অ্যাকশন প্ল্যান এবং পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের বরাদ্দ ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রতিটি কটেজ তৈরি হয়েছে। আর হাতে গোনা কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই দ্বার খুলে যাবে কেদোপাল ইকো নেস্টের।
সাঁকরাইল ব্লকের বিডিও মহম্মদ ওয়াসিউল্লাহ বলেন ‘আমরা খুব যত্ন নিয়ে কোদোপাল ইকো নেস্ট প্রকল্পটি গড়ে তুলেছি। ৮টি কটেজ তৈরি হয়েছে সেখানে। ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।’
[ট্রেনে আসন সংরক্ষণ করে ডাকাতি, অপারেশনের ছকবদলে তাজ্জব রেল পুলিশ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.