সৌরভ মাজি, বর্ধমান: উপযুক্ত বয়স হয়ে গেলেও বিয়ের পথের কাঁটা হয়েছিল অর্থ। এমনই ৪২ জোড়া যুবক-যুবতী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন। এর জন্য নিজেদের কোনও খরচই করতে হয়নি পাত্র বা পাত্রীপক্ষকে। এলাহি খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে নবদম্পতি পেলেন অঢেল উপহারও। নবজীবন শুরু করার ক্ষেত্রে যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগবে। পাশাপাশি প্রত্যেক দম্পতির জন্য ৭৫ হাজার টাকার জীবনবিমা করে দেওয়া হয়।
[যৌনপল্লির কচিকাঁচাদের সঙ্গে প্রথম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন এই দম্পতির]
বর্ধমানের কাঞ্চননগরে আয়োজন করা হয় এই গণবিবাহের আসর। পূর্ব বর্ধমান ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, বীরভূম জেলা এমনকী পাশের ঝাড়খণ্ড, বিহার রাজ্য থেকেও এসেছিলেন পাত্র-পাত্রীরা। এদিন সকাল থেকেই বিবাহের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। পাত্র-পাত্রীদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষজন ছিলেন। নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। এদিন সকালে পাত্রদের নিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয় আলমগঞ্জ কল্পতরু ময়দান থেকে। অন্যদিকে, রথতলা উৎসব ময়দান থেকে পাত্রীদের নিয়ে সুসজ্জিত শোভাযাত্রা হয়। এরপর পাত্র ও পাত্রীপক্ষকে কাঞ্চননগরে গণবিবাহের মঞ্চে নিয়ে আসা হয়।
[পুরনো আক্রোশের জের, বউমার কান কেটে নিল শাশুড়ি!]
সন্ধ্যায় শুরু হয় বিবাহ অনুষ্ঠান। মূল উদ্যোক্তা বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল খোকন দাস। তিনি জানান, এই বিয়াল্লিশ জোড়া পাত্র-পাত্রীর পরিবার সামাজিকভাবে বিয়ের ঠিক করলেও অর্থাভাবে অনুষ্ঠান করতে পারছিলেন না। তাঁদের গণবিবাহের মাধ্যমে নতুন জীবন শুরুর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক নবদম্পতিকে স্টিলের খাট, আলমারি, সাইকেল, বিছানাপত্র, লেপ-তোষক, সেলাই মেশিন-সহ বিভিন্ন সামগ্রী উপহার হিসেবে দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। পাত্রীদের জন্য সোনার কানের দুল, ছেলেদের আংটি, বারো রকম দানসামগ্রী, এলইডি টিভি, বালতি, বাসনপত্র, এক বস্তা চাল, এক বস্তা আলু, ১০ কেজি আটা, তেল-সহ বিভিন্ন সামগ্রী দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল জীবনবিমা সার্টিফিকেট। প্রত্যেক নবদম্পতিকে ৭৫ হাজার টাকা করে জীবনবিমার শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয় উদ্যোক্তাদের তরফে।
ছবি: মুকলেসুর রহমান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.