নবেন্দু ঘোষ, বসিরহাট: বুলবুল সরে গিয়েছে। কিন্তু তছনছ করে দিয়েছে হিঞ্জলগঞ্জের বাসিন্দাদের জীবন। তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বিদ্যুৎ নেই বিস্তীর্ণ এলাকায়। ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, বুধবারই হিঞ্জলগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন তিনি।
শনিবার রাতে হিঙ্গলগঞ্জে আছড়ে পরেছিল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। হাওয়ার দাপটে একের পর এক ভেঙে পড়েছে কাঁচাবাড়ি, গাছ। উপড়ে গিয়েছে কয়েকশো বিদ্যুতের খুঁটি। আর এই বুলবুলের জেরেই দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা। জানা গিয়েছে, অন্যান্য প্রান্তের মতো বুলবুলের প্রকোপ থেকে বাঁচাতে হিঙ্গলগঞ্জেও একাধিক সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল এলাকা। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। বুলবুলের প্রাণহানি না হলেও ঝড়ের পর থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন গোটা এলাকা। তিনদিন ধরে অন্ধকারে ডুবে গোটা গ্রাম।
[আরও পড়ুন: কাঠের বাক্সে লুকিয়ে প্রাণ রক্ষা সদ্যোজাতর, বুলবুল দুর্গতদের পাশে থাকার আরজি কান্তির]
সেই সঙ্গে সঙ্গী চরম পানীয় জলের অভাব। সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ এলাকায় এমনতিতেই সারা বছর পানীয় জলের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের। বিদ্যুৎ না থাকায় জল সরবারহ বন্ধ। ফলে জলের সমস্যা আরও বৃহৎ আকার নিয়েছে। বুলবুলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফসলও। বিঘার পর বিঘা জমি জলে ডুবে গিয়েছে। ফলে মাথায় হাত কৃষকদের। আয়লার প্রকোপে ভুগতে হয়েছিল সুন্দরবন লাগোয়া এই হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দাদের। বুলবুল আবারও তছনছ করে দিল ওই এলাকার বাসিন্দাদের। কতদিনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন এখন সেই অপেক্ষাতেই ওই এলাকার বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, সোমবার নামখানা, কাকদ্বীপের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হেলিকপ্টারে বসে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন তিনি। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তাই বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর হিঙ্গলগঞ্জ পরিদর্শনের পরই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় স্থানীয়রা।
দেখুন ভিডিও: