Advertisement
Advertisement
Nobel laureate Amartya Sen write a letter to Visva Bharati University

Amartya Sen: ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্তা’, জমি জট বিতর্ক নিয়ে বিশ্বভারতীকে পালটা চিঠি অমর্ত্যর

যদিও অমর্ত্যের পালটা চিঠি প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Nobel laureate Amartya Sen write a letter to Visva Bharati University । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 11, 2023 5:20 pm
  • Updated:February 11, 2023 5:21 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: জমি জট নিয়ে বিতর্কের মাঝে এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পালটা চিঠি দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁকে হেনস্তা করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ। জমি জটের মাঝে কেন নোবেল জয়ের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হল, সে বিষয়ে ক্ষমা চাওয়ার আবেদনও জানিয়েছেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী।

শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) ১৩৮ ডেসিমেল জমির উপর ‘প্রতীচী’ নামের বাসভবন তৈরি করেছিলেন অমর্ত্য সেনের দাদু, বিখ্যাত শিক্ষাবিদ ক্ষিতিমোহন সেন। সেটা রবীন্দ্রনাথের আমলেই। এখন এই বাড়ির জমি নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক উসকে দিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, নিয়মানুযায়ী ১২৫ ডেসিমেল জমি লিজ দিয়ে সেসময় বিশ্বভারতীর কর্মী, আধিকারিকদের থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খুব কম সময়ের জন্য হলেও ক্ষিতিমোহন সেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। সেই হিসেবে তিনিও ওই জমির অধিকারী। এখন বিশ্বভারতীর দাবি, ১২৫ ডেসিমেলের জায়গায় যে ১৩৮ ডেসিমেল জমির উপর দাঁড়িয়ে ‘প্রতীচী’, অতিরিক্ত সেই ১৩ ডেসিমেল জমিটি বেআইনিভাবে অধিকৃত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘আমি জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী, সেটা হয়তো জানে না!’ আমিরকে ‘বেচারা’ বলে কটাক্ষ কঙ্গনার]

এই অভিযোগেরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati University) কর্তৃপক্ষকে পালটা চিঠি দিলেন অমর্ত্য সেনের আইনজীবী। মাপজোকে আপত্তি নেই বলেই চিঠিতে দাবি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের। তবে জমি মেপে আদৌ কী পাওয়া যাবে, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। চিঠির বয়ান অনুযায়ী, “১৩ ডেসিমেল জমি মাপজোক করলে কী পাওয়া যাবে? ভাল করে মাপলে ১৩ ডেসিমেল জমি, ১৩ ডেসিমেলই থাকবে। কী কারণে লোকে অঙ্ক করে বিশ্বভারতী কর্মকর্তাদের তা জানার প্রয়োজন হয়তো আছে। এটি পরিষ্কার হলে বিশ্বভারতীতে কাজকর্মের প্রয়োজন হয়তো একটু হ্রাস পেত। এবং বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীদের অকারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাসিত হওয়ার ভয়ও হয়তো কিছুটা কমত।”

Advertisement

অমর্ত্য সেন মনে করছেন বিশ্বভারতীর তৈরি করা জমি জটের নেপথ্যে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে। বিরোধিতা করেন বলেই তাঁর বাড়ি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই মনে করছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। যদিও অমর্ত্যের পালটা চিঠি প্রসঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

[আরও পড়ুন: রোগ সারানোর নামে একরত্তির দাঁত ভেঙে মেঝেয় আছাড় ওঝার, মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ