সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিঘা সমুদ্রতটে পর্যটকদের সুরক্ষার জন্য এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে প্রশাসন। আনছে নতুন একটি অ্যাপ। দিঘা বিচ সেফটি নামে এই অ্যাপের সাহায্যে পর্যটকদের লোকেশনের উপর নজর রাখবে নুলিয়া ও পুলিশ। ফলে স্নান করতে গিয়ে কোনও সমস্যায় পড়লে দ্রুত সাহায্য করতে পারবেন নিরাপত্তারক্ষীরা। জানা গিয়েছে, বিচ ও ২২টি ঘাটে নজরদারি চালাবে পুলিশ।
এই অ্যাপটি তৈরি করেছে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস। গুগল প্লে-স্টোরে দিন দুইয়ের মধ্যেই আপলোড হবে এই অ্যাপ। দিঘায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের এই অ্যাপ ডাউনলোড করার অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। কাঁথির এসডিপিও পার্থ ঘোষ জানিয়েছেন, শুধু মোবাইলে এই অ্যাপ ডাউনলোড করলেই হবে না। তার পাশাপাশি ফোনে লোকেশনও অন রাখতে হবে। তবেই কাজ করবে এই অ্যাপটি। যদি কেউ এই অ্যাপটি অন করে বন্ধু বা আত্মীয়ের হাতে দিয়ে সমুদ্রে নামে, তাহলে সে কোনও বিপদে পড়লে পাড় থেকে অ্যালার্ট পাঠাতে পারবেন তাঁর বন্ধু বা আত্মীয়রা। সেই অ্যালার্ট সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কন্ট্রোল রুমে পৌঁছে যাবে। সেখান থেকে সমুদ্রতটে যে সব পুলিশকর্মী ও নুলিয়া নজরদারি চালাবে, খবর চলে যাবে তাঁদের কাছে। ফলে উদ্ধারকাজ আরও তাড়াতাড়ি করা সম্ভব হবে।
[ ২৪ ঘণ্টা বনধের পর সচল হল পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত ]
তিনি আরও জানিয়েছেন, দিঘা বিচ সেফটি অ্যাপে শুধু নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আপডেট দেওয়া হবে, তা নয়। প্রতিদিন আবহাওয়া সংক্রান্ত খবরাখবরও দেওয়া হবে অ্যাপের মাধ্যমে। যদি সুরক্ষা নিয়ে কোনও গোলমাল দেখা যায়, তাও অ্যাপের মাধ্যমে পর্যটকদের জানিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি জানানো হবে রিয়েল টাইম আপডেটও। সমুদ্রের কোথায় জলস্তর কতটা, ঢেউয়ের উচ্চতা কোথায় কতটা, তাও জানানো হবে অ্যাপের মাধ্যমে। এছাড়া নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশ ও জরুরি নম্বরও দেওয়া থাকবে অ্যাপে। এছাড়া আগে দিঘার যে সব জায়গায় পর্যটকদের মৃত্যু ঘটেছে, সেই জায়গাগুলির নামও নথিভুক্ত করা হবে।
[ গাছেই মৃত্যু ‘গেছুরে’ গোপালের, শোকে পাথর কাটোয়া ]
কিছুদিন আগে নির্দেশিকা জারি হয়েছিল, হাঁটু কিংবা কোমরের বেশি জলে নামলেই গ্রেপ্তার করা হবে পর্যটকদের। কোনও ব্যক্তি কোমরজলে নামলে সমুদ্রপাড়ে কর্মরত নুলিয়ারা মাইকিং করে সতর্ক করবেন। মাইকিং-এর পরও যদি পর্যটকদের বেপোরোয়া মনোভাব লক্ষ্য করা যায় সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। সেইসঙ্গে মদ্যপান করে সমুদ্রে নামলেও পর্যটকদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি জরিমানা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।