রাহুল চক্রবর্তী: স্বচ্ছলদের ভরতুকিবিহীন রেশন কার্ডের জন্য ১০ নম্বর ফর্মে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক সাড়া মিলেছে। প্রথম দশ দিনে অনলাইন আবেদনকারীর সংখ্যা লাখের গন্ডি পার করেছে। এই সাফল্যকে পুঁজি করে আরও এক ধাপ এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার।
স্থির হয়েছে, গরিবগুর্বোর ভরতুকিযুক্ত ডিজিটাল রেশন কার্ড-সহ খাদ্য দপ্তরের যাবতীয় উপভোক্তা সংক্রান্ত আবেদন এবার অনলাইনেও করার সুযোগ দেওয়া হবে রাজ্যবাসীকে। এককথায় যা নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। যার ভিত গাঁথা হয় ৫ নভেম্বর। ওই দিন থেকে চালু হয় অনলাইন ব্যবস্থা। চালু হয় ১০ নম্বর ফর্মও। স্বচ্ছল ব্যক্তিরা এই ফর্ম পূরণ করে ভরতুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ড পেতে পারবেন। যার দ্বারা রেশন দোকান থেকে খাদ্যসামগ্রী কেনা যাবে না। কিন্তু ডিজিটাল রেশন কার্ডকে পরিচয়পত্র হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। আগে কখনও অনলাইনে ফর্ম পূরণ হয়নি। কিন্তু ১০ নম্বর অনলাইনে আসতেই আবেদনের ঢল। যা প্রত্যাশাও করেননি খাদ্য দপ্তরের কর্তারা। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৪৬ জন অনলাইনে ভরতুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদন করেছেন। এই তথ্য দেখে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা শুধু খুশিই নয় উচ্ছ্বসিত।
তাই খাদ্য দপ্তর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদনপত্র সংক্রান্ত ফর্ম হাতে-কলমে জমা দেওয়ার সঙ্গে অনলাইন ব্যবস্থাও চালু করা হবে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আগামী মাস থেকেই রাজ্যবাসী যাতে অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” ৩ নম্বর ফর্মের মাধ্যমে রাজ্যবাসী ভরতুকিযুক্ত ডিজিটাল রেশন কার্ড পেতে আবেদন করতে পারেন। ৪ নম্বর ফর্মের মাধ্যমে পরিবারের নতুন সদস্যের নাম ডিজিটাল রেশন কার্ডের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। আর ৮ নম্বর ফর্মে ১৩ টাকা কেজি দরে পাওয়া চালের কার্ড থেকে ২ টাকায় পরিবর্তন করা যায়। খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এবার ৩, ৪, ৮ নম্বর ফর্ম অনলাইনেও জমা দেওয়ার দরজা রাজ্যবাসীর জন্য খোলা হচ্ছে। কেন এই ব্যবস্থা? আধিকারিকরা জানিয়েছেন, লাইনে দাঁড়ানোর ঝক্কি কমিয়ে ঘরে বসে ফর্ম পূরণের জন্যই এই অনলাইন ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা।
[আরও পড়ুন:হাসপাতালে ভরতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, অবস্থা স্থিতিশীল জানালেন চিকিৎসকরা]
এদিকে, স্বচ্ছল গ্রাহকরা ১০ নম্বর ফর্মের মাধ্যমে রেশনে ভরতুকি ছেড়ে দিয়েছেন অনেকই। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত সংখ্যাটা ১১ হাজারের বেশি। অন্ত্যোদয় অন্নপূর্ণা যোজনা, প্রায়োরিটি, হাউসহোল্ড, স্পেশাল প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড, রাজ্য খাদ্য সুরক্ষা যোজনা ১-এর আওতাভুক্ত মানুষজনও ২ টাকা কেজি দরে থাকা চালের কার্ড ছেড়ে দিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এতে আধিকারিকরা মনে করছেন, দু’টাকার চাল, গম থেকে আর বঞ্চিত হবেন না প্রকৃত গ্রাহকরা। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “অনলাইনে মানুষের সাড়া দেখে আমরা খুশি। মানুষ ভরতুকিহীন ডিজিটাল রেশন কার্ড পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।” ৫ নভেম্বর থেকে যে শিবির শুরু হয়েছে, তা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- স্বচ্ছলদের ভরতুকিবিহীন রেশন কার্ডের জন্য ১০ নম্বর ফর্মে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক সাড়া মিলেছে।
- এই সাফল্যকে পুঁজি করে আরও এক ধাপ এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার।
- গরিবগুর্বোর ভরতুকিযুক্ত ডিজিটাল রেশন কার্ড-সহ খাদ্য দপ্তরের যাবতীয় উপভোক্তা সংক্রান্ত আবেদন এবার অনলাইনেও করার সুযোগ দেওয়া হবে রাজ্যবাসীকে।