ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও নন্দন দত্ত: এবারের লোকসভা ভোটে দুই নায়িকাকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যাদবপুরে পুরোদস্তুর প্রচারে নেমে পড়েছেন শাসকদলের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার মধ্যমগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পার্টি অফিসে গিয়ে পরিচয় পর্ব সারলেন বসিরহাটের প্রার্থী নুসরত জাহান। বসিরহাটে দলের বিধায়ক ও স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে প্রার্থীর পরিচয় করিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারকা প্রার্থীকে নিয়ে শাসকদলের কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।
[ভোটে লড়তে ইস্তফা তিন বিধায়কের, জোরকদমে প্রচার শুরু তৃণমূলের]
বাংলার ছবির অন্যতম জনপ্রিয় নায়িকা। এ রাজ্যে সকলেই তাঁকে একডাকে চেনেন। কিন্তু, রাজনীতির ময়দানে একেবারেই আনকোরা তিনি। তবে শাসদলের একুশের সমাবেশে টলিউডের আরও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর মতোই নুসরত জাহানকেও নিয়মিত দেখা যায়। এবার লোকসভা ভোটে বসিরহাটের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে তাঁকেই প্রার্থী করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টিকিট পাননি বিদায়ী সাংসদ ইদ্রিশ আলি। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে মধ্যমগ্রামে শাসকদলের পার্টি অফিসে যান বসিরহাটের প্রার্থী নুসরত। আনুষ্ঠানিক পরিচয় পর্বের পর, ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকার বিধায়ক ও স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহান বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। দল যে দায়িত্ব দেবে, তা পালন করবেন।’ এতদিন যাঁকে সিনেমার পর্দা দেখতেন, তিনিই এবার দলের প্রার্থী। এদিন নুসরত জাহানকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। মধ্যমগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে প্রার্থী তথা অভিনেত্রীর সঙ্গে সেলফি তোলার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
এদিকে তারাপীঠের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। তিনি বলেন, “গত দু’বারের মতোই এবারও বীরভূমের মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখছি। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বীরভূমবাসী খুশি। আমরা প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নকেই গুরুত্ব দেব। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী আমি।” সকালে রামপুরহাট স্টেশনে শতাব্দী রায়কে স্বাগত জানান শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা।
দেখুন ভিডিও: