Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিজেপি প্রার্থীর শ্বশুরকে তুলে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে খুন, এলাকায় চাঞ্চল্য

ব্যবসায়িক বিবাদে খুন, দাবি পুলিশের।

Panchayet Poll: BJP leader brutally murdered in West Midnapore
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 13, 2018 11:06 am
  • Updated:May 13, 2018 11:09 am

শ্রীকান্ত দত্ত, ঘাটাল: একসময় তৃণমূল করতেন। পরে দলবদলে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে খুন হয়ে গেলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের প্রভাবশালী নেতা সুখদেব মাইতি। শনিবার গভীর রাতে তাতারপুর গ্রামে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি লাগোয়া ঝোপ থেকে তাঁর গলাকাটা দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। নিহত ওই নেতার ভাইপোর স্ত্রী পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির প্রার্থী। ঘটনায় অভিযুক্ত শাসকদল। একজন তৃণমূল সমর্থককে গ্রেপ্তারও করেছে। যদিও পুলিশের দাবি, রাজনৈতিক কারণে নয়, ব্যবসায়িক বিবাদে খুন হয়েছেন বিজেপি নেতা সুখদেব মাইতি।

[ভোটের আগে বিস্ফোরণ কাঁকসায়, অভিযোগ ঘিরে বিজেপি তৃণমূলে চাপানউতোর]

Advertisement

এলাকায় প্রভাবশালী নেতা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন নিহত সুখদেব মাইতি। আগে তৃণমূল করলেও, পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের তাতারপুর গ্রামসভার সভাপতি ছিলেন সুখদেববাবু। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে তাঁর ভাইপোর স্ত্রী মৌসুমী মাইতি বিজেপির প্রার্থী। জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে দলের একটি সভায় যোগ দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সুখদেব মাইতি। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, সভা থেকে ফেরার পথে, রাত ১২ নাগাদ ওই বিজেপি নেতাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদে গলা কেটে খুন করে দেহটি ফেলে দেওয়া হয় ঝোপে। এদিকে সুখদেব মাইতি বাড়ি না ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুজি। শেষপর্যন্ত, নির্মীয়মাণ বাড়ির পাশে ঝোপে ওই বিজেপি নেতার গলাকাটা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। দাসপুর পশ্চিমাঞ্চলের বিজেপি সভাপতি অমল শাসমলের অভিযোগ, ভাইপো স্ত্রীর প্রার্থী হওয়ায় সুখদেব মাইতিকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছিলেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করা হয়েছে।

Advertisement

[সিপিএম প্রার্থীর বাড়ির সামনে সাদা থান রজনীগন্ধার মালা, চাঞ্চল্য বনগাঁয়]

খবর পেয়ে রাতেই তাতারপুর গ্রামে যায় দাসপুর থানার পুলিশ। বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন জগন্নাথ সাঁপুই নামে এক তৃণমূল কর্মী। তদন্তকারীদের অবশ্য দাবি, নিহত সুখদেব মাইতির কাছে এক লক্ষ টাকা পেতেন জগন্নাথ সাঁপুই। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। শনিবার সন্ধ্যায়ও তাঁদের মধ্যে বচসা হয়েছিল। ব্যবসায়িক বিবাদে ওই বিজেপি নেতাকে খুন করেছে অভিযুক্ত। এদিকে আবার এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বও।

[ভোট প্রচারে বাবা মুকুল রায় ও বিজেপিকে নিশানা শুভ্রাংশুর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ