সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরীক্ষাকেন্দ্রে আতঙ্ক ছড়াতে বাথরুমে বোমা রেখে দিয়েছিল কেউ। বুধবার রামপুরহাট নিশ্চিন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বোমা উদ্ধারের পর এমনটাই মনে করছে পুলিশ। কেউ কেউ অভিযোগ তুলেছেন, পরীক্ষার্থীদের কেউ এই কাজ করে থাকতে পারে। কারণ, কড়া পাহারার মধ্যে পরীক্ষা চলে। পরীক্ষার সিটে বসে ঘাড় ঘোরানোর সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয় না কাউকে। কোনওভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের পরিবেশ অশান্ত করে দিতে পারলে টুকলিতে সুবিধা হবে।
[শ্রীজাতর পর এবার আক্রান্ত মন্দাক্রান্তা, ফেসবুকে গণধর্ষণের হুমকি বিশিষ্ট কবিকে]
এক সময় অবাধ টোকাটুকির বদনাম রামপুরহাটের বহু স্কুলের বিরুদ্ধেই ছিল। এখন কড়া হাতে তা আটকানোর চেষ্টা করে প্রশাসন। এ নিয়ে মহকুমার বেশ কয়েকটি স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে শিক্ষকদের বাক-বিতণ্ডাও হয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার ছিল উচ্চমাধ্যমিকের কলা বিভাগে দর্শন বিষয়ের পরীক্ষা। যথাসময়ে শুরু হয় পরীক্ষা। অভিযোগ, হঠাৎই রামপুরহাট নিশ্চিন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায় স্কুলচত্বরে।
[কেরিয়ার বনাম সংসার, কোনদিকে পাল্লা ভারী প্রসেনজিতের?]
প্রধান শিক্ষক আবদুল আলম বলেন, “খবরটি কানে আসতেই পুলিশকে ফোন করি। তারা বোমাটি উদ্ধার করে।” পুলিশ জানিয়েছে, এটি নিছক হাত বোমা। তেমন ক্ষমতাসম্পন্ন নয়। বাজারে কিনতেও পাওয়া যায়। আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই এই কাজ করা হয়েছে। স্কুল সূত্রে খবর, বোমাতঙ্কের সুযোগও নিয়েছে বেশ কিছু পরীক্ষার্থী। স্কুলের বাথরুম ঢুকে তার প্রমাণ মিলেছে। বইয়ের ছেঁড়া পাতা, মাইক্রো জেরক্সের টুকরো ছড়িয়ে রয়েছে চারদিকে।