সীমান্তে আতঙ্ক বাড়ছে।
সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সংখ্যালঘু নির্যাতন ইস্যুতে জ্বলছে বাংলাদেশ। নিরাপত্তা হারিয়ে এখন ‘বন্ধু’ ভারতের মুখাপেক্ষী সে দেশের অত্যাচারিত হিন্দুরা। আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে প্রবেশ করতে মরিয়া অনেকে। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় নজরদারি আঁটসাঁট হলেও এই পরিবর্তিত পরস্থিতিতে অনুপ্রবেশের ঝুঁকি থাকছেই।দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলা – নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা বাংলাদেশের স্থল সীমান্ত। অনেক জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নেই। ফলে সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়ছে এসব এলাকার বাসিন্দাদের। উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, বসিরহাট ও নদিয়ার তেহট্ট সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের অনেকেই এই মুহূর্তে কমবেশি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। কীসের এত আতঙ্ক? কী বলছেন এপারের সাধারণ মানুষজন?
বনগাঁয় রয়েছে পেট্রাপোল সীমান্ত, বসিরহাটে ঘোজাডাঙা। বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতন চরমে ওঠার পর থেকে ওই দুই সীমান্ত দিয়ে পণ্য পরিবহণ কমে গিয়েছে অনেকখানি। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, পেট্রাপোল সীমান্তে আগে দিনে গড়ে ৪৫০ থেকে ৫০০ পণ্যবাহী গাড়ি যাতায়াত করত। এখন তা কমে দিনে ৭০ থেকে ১২০ টি পণ্যবাহী গাড়ি চলে। মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রগুলিতে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও প্রবল সমম্যায় পড়েছেন। ভারতীয় মূল্যে বাংলাদেশের টাকার অঙ্ক নেমেছে ৬৮ তে। এখন দিনে একশো টাকাও উপার্জন নেই।
এসব ক্ষতি তো আছেই। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের আতঙ্ক কাজ করছে অহরহ। যদিও বিএসএফ জওয়ানদের গতিবিধি বেড়েছে সীমান্ত এলাকাগুলিতে। সীমান্ত এলাকায় আগামী দিনে কতটা প্রভাব পড়বে? ব্যবসা কীভাবে চলবে? তা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ী রশিদ মণ্ডল। বনগাঁর অদূরে ঠাকুরনগরের বাসিন্দা কাজল বণিক সদ্য বাংলাদেশ থেকে ফিরেছেন। ভয়ে কাঁটা তিনিও। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে সীমান্ত এলাকায় কতটা চাপ বাড়বে? প্রশ্ন তুলেছেন কাজলবাবু।
ঘোজাডাঙা সীমান্ত এলাকার ব্যবসায়ীরাও চরম উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন। সেখানে বিএসএফের কড়াকড়িতে পণ্য পরিষেবায় প্রভাব পড়েছে। নদিয়ার তেহট্ট সীমান্ত এলাকা অবশ্য এখনও স্বাভাবিক রয়েছে বলে খবর। বেতাই এলাকার বাসিন্দা শংকর বিশ্বাস জানাচ্ছেন, আতঙ্ক থাকছেই। পরিস্থিতি আরও অশান্ত হলে ওই এলাকায় কী হতে পারে? ওপার থেকে বাসিন্দাদের এদিকে ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা কতটা? সেই প্রশ্ন রয়েছে তাঁর মনে। ওই জেলার করিমপুর-জলঙ্গি সীমান্তে কাঁটতারের বেড়া নেই অনেক জায়গায়। ফলে সেই সব এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ সহজ হবে বলে মনে করছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.