Advertisement
Advertisement

Breaking News

Train acciddent

ভিড়ের চাপে লোকাল ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু যাত্রীর, উত্তেজনা ডানকুনিতে

মৃত যাত্রী পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

Passenger died after falling fron the running train with overcrowd in Dankuni | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 4, 2022 3:02 pm
  • Updated:January 4, 2022 3:31 pm

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যু ট্রেনযাত্রীর। ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হল এক যাত্রীর। হুগলির (Hooghly) ডানকুনি-বেলানগর রেললাইনের মাঝে এই ঘটনাটি ঘটেছে সকালের দিকে। ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়ার পর জখম ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরও শেষরক্ষা হল না। দুপুর নাগাদ তাঁর মৃত্য়ু হয়। এই ঘটনার পর ডানকুনি (Dankuni) শাখায় ব্য়াপক উত্তেজনা শুরু হয় যাত্রীদের মধ্যে। তাঁদের দাবি, ট্রেন পর্যাপ্ত নেই বলেই এমন অঘটন ঘটেছে।

Advertisement

রেল সূত্রে খবর, মৃত যাত্রীর নাম চন্দন প্রচণ্ড, বয়স ৫৫ বছর। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। দিন কয়েক আগে ডানকুনি এসেছিলেন এক আত্মীয়ের বাড়িতে। আজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য ডানকুনি থেকে লোকাল ট্রেন ধরেন। উদ্দেশ্য ছিল, হাওড়া পর্যন্ত আসবেন। তারপর খড়গপুর হয়ে চন্দ্রকোণা ফিরবেন। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের ভিনরাজ্যে খুন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক, বিজেপিশাসিত বিহারে গুলিতে মৃত মালদহের যুবক

সেইমতো ডানকুনি থেকে একটি লোকাল ট্রেনে ওঠে চন্দনবাবু। ট্রেনটিতে প্রচণ্ড ভিড় ছিল। কোনওক্রমে গেটের কাছে পা রাখতে পেরেছিলেন,  শরীর ঝুলছিল ট্রেনের বাইরে। তবে শক্ত করে ধরে রেখেছিলেন ট্রেনের হাতল। বেলানগর স্টেশন আসার আগেই ভিড়ের চাপে কোনওভাবে হাত ফসকে যায় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থেকে পড়ে যান। ওই অবস্থায় তাঁকে  রেলট্র্যাক থেকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করা হয়।  শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হওয়ায় কলকাতার হাসপাতালে রেফার করা হয়। আর জি কর হাসপাতালে ভরতি করিয়ে চিকিৎসার পরও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। 

[আরও পড়ুন: সাতসকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা খড়গপুরে, ছাগলবোঝাই পিক আপ ভ্যানের চাকায় পিষে মৃত্যু ৩ বালকের]

করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে রাজ্যে ফের জারি হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। লোকাল ট্রেন, মেট্রো ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশ রয়েছে। রাত ১০টার পর লোকাল ট্রেন আর চলবে না। কিন্তু ৫০ শতাংশ যাত্রী দূর অস্ত, যত মানুষ রোজ লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে যাতায়াত করছেন এখনও। ডানকুনি শাখায় ট্রেন এমনিই কম। ফলে ভিড়ের ছবি স্বাভাবিক। কিন্তু তারই মধ্য়ে এমন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় যাত্রীরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেন এত কম থাকার ফলেই এত ভিড় আর তাতেই ওই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।  রেলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ