Advertisement
Advertisement

Breaking News

বাবুল সুপ্রিয়

পূরণ হয়নি অনেক দাবি, তবুও ‘পালক পিতা’ বাবুলেই আস্থা সিধাবাড়ির

গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, ‘দত্তক ‘সন্তান’কে অবহেলা করতে পারেননি এলাকার সাংসদ’।

People of Sidhabari still have faith on Babul Supriya.
Published by: Tanujit Das
  • Posted:April 28, 2019 4:57 pm
  • Updated:May 19, 2023 7:07 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: গ্রামে রয়েছে বহু সমস্যা। অনেক বাড়িতে এখনও তৈরি হয়নি শৌচাগার। কর্মসংস্থানেরও তেমন কোনও সুযোগ নেই। গ্রামের পড়ুয়াদের জন্য নেই হাইস্কুল৷ রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। কিন্তু তাও কোনও এক অজানা কারণে এই ‘নেই রাজ্য’র বাসিন্দারা এখনও ভালবাসেন এলাকার সাংসদ তথা গ্রামের ‘পালক পিতা’ বাবুল সুপ্রিয়কেই।

[ আরও পড়ুন: বিজেপির প্রচারে ‘মার্কিন নাগরিক’ খালি, কমিশনে নালিশ তৃণমূলের ]

Advertisement

২০১৪-র লোকসভা ভোটের পর প্রধানমন্ত্রী’র আদর্শ গ্রাম যোজনায় সিধাবাড়ি গ্রামটিকে দত্তক নেন বাবুল সুপ্রিয়। মাইথন জলাধারের পাশে অবস্থিত সালানপুর ব্লকের অন্তর্গত এই গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দাই মূলত দিনমজুর৷ কোনওক্রমে দিন গুজরান করেন তাঁরা৷ এলাকার সাংসদ গ্রামের পিতা হওয়া সত্ত্বেও তেমন কোনও উন্নতি হয়নি গ্রামের এবং সেখানে বসবাসকারী মানুষদেরও৷ বরং হাহাকারের চিহ্নই বেশি৷ জানা গিয়েছে, কেন্দ্র-রাজ্যে সংঘাতে মধ্যে পড়ে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সিধাবাড়ির মানুষরা৷ রাজ্যের প্রবল বাধার মুখে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর আদর্শ গ্রাম যোজনার কর্মসূচিই নাকি রূপায়িত হয়নি সেখানে। রাজ্য সরকারের সাহায্যও পৌঁছেছে সামান্যই৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: জ্বর গায়ে প্রচারে বেরিয়ে নকুলদানা বিলি মিমির ]

সিধাবাড়ির বাসিন্দাদের একটা অংশ বলছে, রাজ্যের চাপে কেন্দ্রের প্রকল্প রূপায়িত না হলেও, দত্তক ‘সন্তান’কে অবহেলা করতে পারেননি বাবুল সুপ্রিয়। সাধ্য মতো উন্নয়নের কাজ করেছেন তাঁদের সাংসদ৷ সরকারি হিসাব বলছে, সাংসদ তহবিল ও সিএসআর ফান্ড থেকে এক কোটি টাকারও বেশি খরচ করে সিধাবাড়িতে বহু উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বাবুল। গ্রামে পাকা রাস্তা হয়েছে৷ নিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে৷ গ্রামে বেশ কয়েকটি গভীর নলকূপ হয়েছে। গ্রামবাসীদের পানীয় জলের কষ্ট কিছুটা হলেও দূর হয়েছে। গ্রামে বসেছে তিনটি হাইমাস্ট লাইট এবং চল্লিশটি সোলার স্ট্রিট লাইট। এবং গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসবাবপত্রও দিয়েছেন সাংসদ।

[ আরও পড়ুন: ১০৪ নট আউট, এবারও ভোট দেবেন বহরমপুরের বীণাপাণিদেবী ]

এছাড়া সিধাবাড়ি পিকনিক স্পটের কাছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য একটি ভবন তৈরি করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পিকনিক স্পটে পর্যটকদের জন্য ব্যবস্থা করেছেন পরিশ্রুত পানীয় জল এবং শৌচাগারের। দিনমজুর গ্রামবাসীদের জন্য করেছেন মাছ চাষের ব্যবস্থা৷ এবং গ্রামের কুমোরদের দিয়েছেন অত্যাধুনিক যন্ত্র৷ সাংসদের দাবি, রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পেলে সেই উন্নয়নের কাজ আরও ভাল ভাবে করা যেত৷ তিনি অভিযোগ করেন, শৌচাগার তৈরির টাকা কেন্দ্র দিলেও রাজ্য সরকার সেই টাকা গ্রামবাসীদের কাছে পৌঁছাতে দেয়নি। তাঁর প্রতিশ্রুতি, আগামী দিনে নির্বাচনে জিতলে সিধাবাড়িতে উচ্চবিদ্যালয় তৈরি হবে। আরও সুন্দর হবে গ্রামের পরিবেশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ