Advertisement
Advertisement

Breaking News

হনুমান ধরার দাবিতে পথ অবরোধ, ঘুম ছুটেছে বন দপ্তরের

ঘুমপাড়ানি বন্দুক নিয়ে ছাদে-প্রাচীরে ছুট রেঞ্জ অফিসারের।

People scary of monkey, block road at Asansol
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 25, 2017 11:57 am
  • Updated:September 22, 2019 4:29 pm

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ঘুম ছুটেছে বন দপ্তরের। তাই পাগলা হনুমানকে বাগে আনতে ঘুম পাড়ানি বন্দুক নিয়েই গোটা গ্রাম চষে বেড়ালেন বনদপ্তরের কর্মীরা। কখনও ছাদে, কখনও কার্নিশে, কখনও গাছের মগডালে। বনকর্মীদেরই বাঁদর নাচান নাচাচ্ছে দলছুট হনুমান। বহুচেষ্টা করে পাগলা হনুমানকে ধরা গেল না। হনুমান ধরতে এসে ব্যর্থ হলেন তাঁরা। হনুমান না ধরা পড়ায় ক্ষোভে বারাবনি-জামুড়িয়া রাস্তা অবরোধ করলেন গ্রামবাসীরা।

asansol ke bandar ko bandaftar ke log bhagaya (1)

Advertisement

[জঙ্গি মেজর জিয়া ও মজিদকে গ্রেপ্তারে তল্লাশি চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা]

Advertisement

দলছুট এক পাগলা হনুমানের হামলায় আতঙ্কিত জামুড়িয়ার শিবপুর গ্রাম। কয়েকদিন ধরে জামুড়িয়ার ২নম্বর ওয়ার্ড শিবপুর গ্রামের ২৫ জন বাসিন্দা কমবেশি হামলার শিকার হয়েছেন হনুমানের হামলায়। শিবপুরের চট্টোপাধ্যায় পাড়া, মঙ্গলপাড়া, বাউড়ি পাড়া, মুচি পাড়া-সহ সাতটি পাড়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হনুমানটি। বাসিন্দাদের কেউ খেয়েছেন হনুমানের চড়, কেউ কামড়। কাউকে আঁচড়েও দিয়েছে ওই হনুমানটি, পালাতে গিয়ে কারও ভেঙেছে হাত। বাড়ির বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছেন মহিলারা। অতঙ্কিত অভিভাবকরা স্কুলেও পাঠাচ্ছেন না তাঁদের শিশুদের। হামলাবাজ হনুমানটিকে ধরতে না পেরে বন দপ্তরও খাঁচাটিকে গ্রামেই ফেলে চলে যায় বলে অভিযোগ। পথ অবরোধকারী চন্দন মোদকের অভিযোগ, বন কর্মীরা দায়সারা অভিযান চালাচ্ছে। তাতে সময় নষ্ট হচ্ছে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। দিনে-রাতে আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

asansol ke bandar ko bandaftar ke log bhagaya (3) (1)

[খাঁচাবন্দি বাঘকে টাকা খাওয়াতে গিয়ে কী হাল হল চিনা বৃদ্ধর?]

তবে গ্রামবাসীরা হনুমানের হাতে আক্রান্ত হলেও বন কর্মীদের হাতে বন্দুক দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তারা দাবি তোলেন গুলি করে মারা যাবে না হনুমানটিকে। ঘটনাস্থলে যায় জামুড়িয়া থানার পুলিশও। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীদের চেষ্টায় হনুমানটিকে ঘুমের ওষুধ মেশানো কলা খাওয়ানো সম্ভব হয়।আসানসোল রেঞ্জ অফিসার দীপক দত্ত জানান, যে বন্দুকটি ব্যবহার হচ্ছিল সেটি এয়ার গান বা পাখি মারা বন্দুক। কলার মধ্যে ঘুমের ওষধ খাওয়ানোর পর গ্রামে দুজন বনকর্মীকে রাখা হয়েছে। হনুমানটি ঘুমিয়ে পড়লেই তাকে খাঁচাবন্দি করা হবে। তবে হামলাবাজ হনুমানটি না ঘুমানোয় শুক্রবারেও ধরা যায়নি হনুমানটিকে। ফলে আতঙ্ক রয়েছে শিবপুর গ্রামে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ