Advertisement
Advertisement

Breaking News

হাতি

মৃত হাতিদের মূর্তি ও শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের টাকার দাবিতে বিনপুরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

দাবি না মিটলে আরও বড় আন্দোলন হবে, হুঁশিয়ারি স্থানীয়দের।

people show agitation and demanded three elephant idol and 15 thousand
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 12, 2019 9:40 am
  • Updated:July 12, 2019 9:40 am

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: তিনটি হাতির বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুর পর গ্রামে তাদের মূর্তি বসানোর দাবি করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুরু তাই নয়, হাতিদের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের জন্য পনেরো হাজার টাকাও চান তাঁরা। আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত উত্তেজনা ছড়াল বিনপুরের সাতবাঁকি গ্রামে। বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কর্মীদের গ্রামে কাজ করতে না দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় ক্লাবে তাঁদের গাড়ি আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে বিনপুর থানার পুলিশ এসে বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। এরপর শান্ত হয় পরিস্থিতি। পুলিশের কাছ থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস পেয়ে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। ছেড়ে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার গাড়ি।

[আরও পড়ুন- লক্ষ্য জল সংরক্ষণ, ১০০ দিনের প্রকল্পে নার্সারিতে গাছের চারা তৈরি পূর্ব বর্ধমানে]

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার লোকজন হাইটেনশন লাইনটির কাজ করতে এসে কোনওরকম জোড়াতালি দেওয়া কাজ করছিল। তাই সবাই প্রতিবাদ করে। তিনটি হাতির মূর্তি বসানো ও শ্রাদ্ধের টাকা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুলিশ, বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা এবং বনদপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ছিল। তাও করা হয়নি। এর ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে গ্রামবাসীরা। বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার কাজ বন্ধ করে দিয়ে তাদের গাড়ি আটকে রাখে।

Advertisement

ঝাড়গ্রামের বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার ডিভিশনাল ম্যানেজার উজ্জ্বল রায় বলেন, “আমাদের তো আগে কাজটি করতে দিতে হবে। কিন্তু, গ্রামবাসীরা বিকেল থেকে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। হাতির শ্রাদ্ধের জন্য পনেরো হাজার টাকা চাইছে। তিনটি হাতির মূর্তি বসানোরও দাবি করছে। এটা আমাদের পক্ষে মেনে নেওয়া কীভাবে সম্ভব? ওদের দাবি মানতে রাজি না হওয়ায় আমাদের গাড়িটিকেও আটকে রেখেছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন- জলের চাপে ফেটে যেতে পারে পাইপ! ট্যাপহীন কলে দেদার জল অপচয়]

বর্তমানে পুলিশি হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটলেও দাবি না মেটা পর্যন্ত গ্রামে বিদ্যুতের কাজ করতে দিতে চাইছেন না বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসতে হবে। দাবি না মানা হলে গ্রামে কাজ করতে দেওয়া হবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ