Advertisement
Advertisement
নার্সারি

লক্ষ্য জল সংরক্ষণ, ১০০ দিনের প্রকল্পে নার্সারিতে গাছের চারা তৈরি পূর্ব বর্ধমানে

প্রশাসনের এই উদ্যোগে রক্ষা পাবে পরিবেশ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷

East Burdwan established nursery under MGNREGA project.
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:July 11, 2019 9:44 pm
  • Updated:July 11, 2019 9:59 pm

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: পর্যাপ্ত বৃষ্টি অভাব ও যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে দ্রুত কমছে ভূগর্ভস্থ জলস্তর। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণও বাড়ছে দিন দিন। সেই কথা মাথায় রেখে ১০০ দিনের প্রকল্পে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০ হাজার গাছের চারা তৈরির নার্সারি গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এছাড়া প্রতিটি ব্লকে গাছের চারা তৈরির নার্সারি গড়া হবে যেখানে ১ লক্ষ গাছের চারা হবে বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন- মৎস্যজীবীদের বেআইনি দাবি না মেটানোয় বেধড়ক মার খেলেন রেঞ্জ অফিসার]

চারাগুলির ১২ থেকে ১৮ মাস বয়স হলেই সেগুলি সংশ্লিষ্ট ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রোপণ করা হবে। এই হিসেবে জেলার ২১৫ টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নার্সারিগুলি থেকে মোট গাছের চারা তৈরি হবে ২১ লক্ষ ৫০ হাজার। আর জেলার ২৩টি ব্লকের নার্সারিগুলি থেকে মোট ২৩ লক্ষ চারা তৈরি হবে। অর্থাৎ প্রতিবছর সব মিলিয়ে ৪৪ লক্ষ ৫০ হাজার চারা তৈরি হবে এই নার্সারিগুলি থেকে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে এই নার্সারিগুলি তৈরি করা হবে। কৃষ্ণচূড়া, জারুল ও শিশুগাছের চারা তৈরি করে তা রাস্তার ধারে লাগানো যাবে। এছাড়া এবারের বর্ষায় উদ্যানপালন দপ্তর থেকে আম, পেয়ারা, লেবু, মুসুম্বি চারা দেওয়া হবে বনসৃজনের জন্য। ১০০ দিনের প্রকল্পে তা রোপণ করা হবে। তবে এই সব বনসৃজনের কাজে ভার্মি কম্পোস্ট বা জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। এবং তা ১০০ দিনের প্রকল্পে গড়া ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিট থেকেই নিতে হবে। বাইরে থেকে কেনা চলবে না। সম্প্রতি পঞ্চায়েত ও ব্লকের পদাধিকারিকদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এই নির্দেশই দিয়েছেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী।

Advertisement

বনসৃজনের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণ জমি কোথাও মিললে সেখানে ভেষজ ও সুগন্ধী চারা লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। অ্যালোভেরা, তুলসি, সিট্রোনেলা প্রভৃতি গাছের চারাও লাগানো যাবে। বিভিন্ন পঞ্চায়েত ও ব্লক এলাকায় অন্য যে সব প্রকল্প রয়েছে। তার সীমানা পাঁচিলের ধারে সুপারি, নারকেল, জামরুল, করমচা, কাজু ও কাঁঠালের চারা বসানোর ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি স্কুলের মিড ডে মিলের কাজে লাগবে এমন সবজি বা ফলের গাছ লাগানোর বিষয়েও গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন মহল।

[আরও পড়ুন- মাধ্যমিকে নিয়ম বদল, নয়া বিজ্ঞপ্তি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের]

এপ্রসঙ্গে ‘গাছ মাস্টার’ নামে খ্যাত রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক অরূপকুমার চৌধুরি জানান, বর্তমান সময়ে পরিবেশ খুবই সংকটে রয়েছে। গাছের সংখ্যা কমেছে। তার প্রভাব পড়েছে পরিবেশে। বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এর ফলে পানীয় জলেরও সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশাসন এভাবে উদ্যোগ নিয়ে বৃক্ষরোপণ করে ও তার যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করলে পরিবেশ রক্ষা পাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ