Advertisement
Advertisement

Breaking News

গ্রাম পঞ্চায়েত

পরিবেশ সচেতনতায় গড়া হচ্ছে ৬৯টি মডেল গ্রাম পঞ্চায়েত

বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।

State government to announce 69 Gram Panchayet as model in WB

ছবিটি প্রতীকী

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:July 10, 2019 9:12 pm
  • Updated:July 10, 2019 9:12 pm

সৌরভ মাঝি, বর্ধমান: পরিষ্কার-পরিছন্নতায় রাজ্যের ৬৯টি মডেল গ্রাম পঞ্চায়েত গড়া হচ্ছে। কঠিন ও তরল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের পাশাপাশি এবার থেকে ওই মডেল গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে থাকবে কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। রাজ্যের প্রতিটি জেলা থেকে তিনটি করে গ্রাম পঞ্চায়েতকে বাছাই করা হয়েছে। তার তালিকাও রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের তরফে প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এই সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনে জেলাগুলিতে কাজও শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলার মেমারি-২ ব্লকের বোহার-১, আউশগ্রাম-২ ব্লকের কোটা ও আউশগ্রাম-১ ব্লকের গুসকরা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় মডেল হিসেবে গড়া হচ্ছে। আর পশ্চিম বর্ধমান জেলার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল সালনপুর ব্লকের আল্লাদি, দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর ও রানিগঞ্জের জেমারি। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, ২০১৮ সালে এই জেলাকে নির্মল জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখন তার পরবর্তী বিষয়ের কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ছোট ও বড় দুই প্রকার কমিউনিটি টয়লেট গড়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, জেলার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে কঠিন-তরল ও কঠিন-প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় মডেল গড়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: রাস্তায় বৃষ্টি উপভোগ গজরাজের! যাত্রী নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আটকে রইল বাস ]

Advertisement

পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল গত ২ এপ্রিল রাজ্য সরকারগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলার তিনটি করে গ্রাম পঞ্চায়েতকে বাছাই করে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুল, ২০১৬ ও প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুল, ২০১৬ মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সেই অনুযায়ী পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের তরফে প্রতি জেলা থেকে তিনটি করে মোট ৬৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত বাছাই করে দেওয়া মডেল গ্রাম পঞ্চায়েত হিসেবে গড়ে তোলার জন্য। এই দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বচ্ছ ভারত মিশন (গ্রামীণ) বা মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে গ্রামের পরিবেশের সার্বিক উন্নয়ন ও এলাকার পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা। সেই অনুযায়ী, গ্রামীণ এলাকায় কাজও হয়েছে।

পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামগুলিতে বাড়ি শৌচাগার তৈরি করা হয় মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে। তারপর খোলা জায়গায় মলত্যাগ বন্ধেও নজরদারি শুরু হয়। ২০১৮ সালে নির্মল জেলা হিসেবে ঘোষিত হয় এই জেলা। পাশাপাশি, গ্রামে আবর্জনা সংগ্রহ করে তার প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমেও পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ শুরু করা হয়। এবার গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মত মডেল গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শুরু হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই একটি করে কঠিন-তরল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র গড়া হবে। সেখানে বাড়ি বাড়ি সংগৃহীত কঠিন ও তরল বর্জ্যের পৃথকীকরণ করা হবে। তার পর সেই কেন্দ্রে তা থেকে গোবর গ্যাস, ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি করা হবে। ১০০ দিনের প্রকল্পের বনসৃজনের কাজে এই সার ব্যবহার করা হবে। এই প্রকল্পে জেলা পরিষদ প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতকে ২০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করতে পারবে। পাশাপাশি, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে এই কেন্দ্র গড়তে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বরাদ্দ করা যায়।

[ আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তার অবসান, বাংলাদেশে হদিশ মিলল নিখোঁজ ২৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীর ]

মডেল গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে উদ্যোগী হবে সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত। পাশাপাশি, প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথকীকরণের করে পরিবেশ যাতে না মেশে তারও ব্যবস্থা করবে। শহরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকাতেও প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে। তা কমাতে হবে। নিষিদ্ধ প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহারে জরিমানা আদায় করা, প্লাস্টিক বর্জ্য ফেললে তা সংগ্রহের জন্য ফি আদায় করা ও প্লাস্টিকের রিসাইক্লিংয়ের ব্যবস্থাও থাকবে এই মডেল গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে। ইন্ডিয়ান রোড কংগ্রেসের গাইডলাইন অনুযায়ী, প্লাস্টিক বর্জ্য রাস্তা তৈরির কাজেও ব্যবহার করা যেতে পারে বলে প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে রুলে বলা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ