অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: নাগরিকত্ব (সংশোধিত) আইন CAA’র প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে চলছে বিক্ষোভ। ফলে হাওড়া-কলকাতা সংযোগকারী অন্যতম সড়ক কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে সম্পূর্ণভাবে স্তব্ধ যান চলাচল। চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। শুক্রবার থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। এদিনই সকলকে শান্ত থাকতে বলেছিলেন রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রী। তা সত্ত্বেও একই ছবি শনিবারও।
শনিবার সকালে প্রথমে গরফার কাছে কয়েকটি সংখ্যালঘু সংগঠনের সদস্যরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রাস্তার মাঝে একের পর এক জ্বালানো হয় টায়ার। মুহূর্ত ছড়িয়ে পড়তে থাকে বিক্ষোভের আগুন। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয় বিক্ষোভ। রাস্তার উপর দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে আগুন। ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একাধিক বাসে। প্রথম দিকে ধীরে গাড়ি চলাচল করলেও, বেলা বাড়তেই কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। আটকে পড়ে বহু গাড়ি ও বাস। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তবে দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও একই অবস্থা কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে। সাঁতরাগাছি স্টেশনে বিক্ষোভের জেরে বাতিল একাধিক ট্রেন। নাজেহাল কলকাতাগামী যাত্রীরা।
[আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় রেল-সড়ক অবরোধ, ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা]
প্রসঙ্গত, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে হাওড়া-কলকাতা সংযোগকারী অন্যতম সড়ক। প্রতিদিন বহু মানুষ এই পথে কলকাতায় পৌঁছন। ফলে কলকাতায় পৌঁছনোর জন্য বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ এটি। বিক্ষোভের জেরে সেই সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কার্যত স্তব্ধ জনজীবন। অনেকেই চেষ্টা করছেন বিকল্প পথে কলকাতা পৌঁছনোর। কেউ আবার বাধ্য হচ্ছেন বাড়ি ফিরতে। শুক্রবারই মানুষের অসুবিধা করে রাজ্যবাসীর কাছে রাস্তা, রেল অবরোধ না করার আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন খোদ রাজ্যপাল। আইনকে সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও শনিবাপ ফের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে। প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় শনিবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সড়ক ও রেল অবরোধ চলছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসুলডাঙা, মুর্শিদাবাদের সুতি-সহ বিভিন্ন এলাকায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাস। ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার মানুষ।